[ad_1]
গায়ানা: ১৫২ রানের পুজি নিয়ে লড়াই করেও হল না শেষ রক্ষা। একা তফাৎ গড়ে দিয়ে গেলেন নিকোলাস পুরান। ক্যারিবিয়ান তারকার বিধ্বংসী ৪০ বলে ৬৭ রানের ইনিংসের সৌজন্যেই দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ২ উইকেটে জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে ভারত। সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন তিল বর্মা। এছাড়া ইশান কিশান ২৭ ও হার্দিক পান্ডিয়া ২৪ রান করেন। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নির্দিষ্ট ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ভারতীয় দল। রান পাননি ওপেনার শুভমান গিল ও প্রথম ডাউনে নামা সূর্যকুমার যাদব। এরপর ইশান কিশান ও তিলক বর্মা একটা ছোট পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। ৪২ রান জুটিতে যোগ করেন ইশান ও তিলক। দলের ৬০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইশান কিশান। এরপর ক্রিজে আসেন সঞ্জু স্যামসন। কিন্তু বড় রান করতে ব্যর্থ হন তিনিও। ৭ রান করে আউট হন তিনি। ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপ বাড়ে ভারতীয় দলের উপর।
এরপর হার্দিক পান্ডিয়া ও তিলক বর্মা মিলে দলকে কিছুটা টেনে নিয়ে যান। অনবদ্য ব্যাটিং করে নিজের প্রথম অর্ধশতরান করেন তিলক বর্মা। ১১৪ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে ভারতের। ৫১ রান করে বিগ হিট করতে গিয়ে আউট হন তিলক বর্মা। শেষের দিকে দ্রুত রান করার চেষ্টা করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। নিরাশ করেন অক্ষর প্যাটেলও। ১৪ রান করে আউট হন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে ভারত।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও। ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর একদিক থেকে নিজের ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান নিকোলাস পুরান। অপরদিকে কাইল মেয়ার্স পুরানকে কিছুটা সঙ্গ দেন। ৩২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। ১৫ করে আউট হন মেয়ার্স। ৩ উইকেট পড়লেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান পুরান। অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলর সঙ্গে জুটি বেধে অর্ধশতরানের পার্টনাশিপও করেন পুরান। ৮৯ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২১ রান করে আউট হন রভম্যান পাওয়েল।
এরপর পুরানকে সঙ্গ দেন শিমরন হেটমায়ার। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন পুরান। একটা সময় মনে হয়েছিল সহজেই ম্যাচ জিতবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু দলের ১২৬ রানে পুরান আউট হতেই কিছুটা কামব্যাক করে ভারত। ১২৮ রানে আউট হন জেসন হোল্ডার ও ১২৯ রানে আউট হন শিমরন হেটমায়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেট হারানোর পর জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল ভারত। কিন্তু নবম উইকেট ঠান্ডা মাথায় ২৪ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে জয় এনে দেন আকিল হোসেন ওআলজারি জোসেফ। ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন হোসেন ও ১০ রানে জোসেফ। এই জয়ের ফলে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের আগামি ৩টি ম্যাচ ভারতের কাছে ডু অর ডাই।
Tags: Ind vs WI, India vs West indies, T20, Team India