[ad_1]
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর তা নিয়ে বাংলায় শাসক–বিরোধী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এমন আবহে সাংগঠনিক স্তরে ব্যাপক ভাঙন ধরল বিজেপিতে। তাও আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায়। এই ঘটনায় জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। এমনিতেই বাংলায় সংগঠন তলানিতে বলে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে কথা শুনতে হয় বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের। সেখানে আরও ভাঙতে শুরু করলে লোকসভা নির্বাচনে আসন ধরে রাখা যাবে না। এবার তিন বিজেপির সাংগঠনিক স্তরের নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। বড়দিনের প্রাক্কালে রাজ্য–রাজনীতিতে বড় ঘটনা ঘটে গেল।
এবার সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার প্রাক্কালে বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, এই জেলার দুটি আসন উপহার দেবেন মোদীজিকে। এক, তমলুক দুই, কাঁথি। কিন্তু তার আগেই দেখা গেল, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় বিজেপিতে ভাঙন ধরল। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিন বিজেপি নেতা। যাঁরা কিনা সংগঠন মজুবত করে ভোট পরিচালনার বড় দায়িত্ব নিয়ে থাকেন। এই ঘটনায় অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আবার জেলা বিজেপি এই খবর মেনে নিতে নারাজ। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য মনে করছে, কোমরে আঘাত করা গিয়েছে বিজেপির।
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ইটাবেড়িয়া অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। সেখানেই শনিবার এই যোগদান ঘটে যায়। ওই অনুষ্ঠান থেকে ইটাবেড়িয়া অঞ্চলের ১৯৩ নম্বর বুথের বিজেপির বুথ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত দাস, বিজেপি বুথ যুব সভাপতি সৌমিত্র দে এবং বিজেপির যুব নেতা ঝাড়েশ্বর গোল তুলে নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা। যেখানে বিজেপি বুথ সশক্তিকরণ অভিযান চালাচ্ছে সেখানে বুথের শীর্ষ নেতারাই দল ছেড়ে দিলেন। সুতরাং প্রশ্ন উঠে গেল, বিজেপির বুথ কি আর শক্তিশালী রইল?
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচন নিয়ে কড়া পদক্ষেপ, শাস্তির হুঁশিয়ারি শুনিয়ে রাখল নির্বাচন কমিশন
অন্যদিকে এই বিজেপি নেতাদেরকে তৃণমূল কংগ্রেসে অর্ভ্যথনা জানান কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পিযুষকান্তি পন্ডা। তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষকে ভাত মারতে কেন্দ্রীয় সরকার চক্রান্ত করছে। তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এরা যোগদান করলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর জনমুখী প্রকল্প গড়ে তুলছেন। আগামী কয়েকদিনে দেখতে পাবেন আপনারা হাজার হাজার বিজেপি কর্মী এই কাঁথিতে নিজেদের দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন।’ পাল্টা কাঁথি জেলা বিজেপি সহ–সভাপতি তাপস দোলাই বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন খবর। কেউ যোগদান করেনি। তৃণমূল কংগ্রেস ভুল খবর প্রচার করছে। এরা তৃণমূল কংগ্রেসেই ছিলেন। ছদ্মবেশী হয়েছিলেন। তাই এদের যোগদানে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না।’