Home আপডেট তিনদিনে ২০০ টোটো আটক করল পুলিশ, হাওড়ায় এমন ঘটনার নেপথ্য কারণ কী?‌

তিনদিনে ২০০ টোটো আটক করল পুলিশ, হাওড়ায় এমন ঘটনার নেপথ্য কারণ কী?‌

তিনদিনে ২০০ টোটো আটক করল পুলিশ, হাওড়ায় এমন ঘটনার নেপথ্য কারণ কী?‌

[ad_1]

ঐতিহ্যবাহী হাওড়া শহরে একটা বড় সমস্যা দেখা গিয়েছিল টোটো নিয়ে। বাসিন্দাদের বিস্তর অভিযোগ থাকলেও সমাধান হচ্ছিল না। কারণ শয়ে শয়ে টোটো চলছে যাবতীয় নিয়মকানুন না মেনে। তাতেই চলাফেরার অসুবিধা থেকে শুরু করে পথ দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছিল। গোটা হাওড়া শহরে টোটোকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। এমনকী অনেক জায়গায় কোনও নির্দিষ্ট রুট না থাকা সত্ত্বেও দেদার চলছে টোটো। আর তাই রাস্তায় অন্য যানবাহনের গতি যেমন থমকে যাচ্ছে, তেমনই পথ চলতে অসুবিধা হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা তিতিবিরক্ত। এই আবহে এবার নড়েচড়ে বসল হাওড়া সিটি পুলিশ। আর তাই বৃহস্পতিবার থেকে তারা বেআইনি টোটোর বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে। চাপে পড়েছে টোটো চালকরা।

এদিকে বেআইনি পথে টোটো চালিয়ে আবার চোখ রাঙাত চালকরা বলে অভিযোগ। ২ এবং ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে টোটো চালানো থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়কে টোটো দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠছিল। তাই প্রথমদিন ৮১টি টোটো আটক করে পুলিশ। কিন্তু তাতেও ভাবলেশহীন হয়ে চলছিল টোটো। কিন্তু এসব বেয়াদপির সঙ্গে আপস করেনি পুলিশ। তাই শুক্রবার এবং শনিবার ব্যাপক ধরপাকড় করা হয়। আর প্রায় ২০০টি টোটো আটক করা হয়। এতেই চাপে পড়ে টোটো চালকরা। এই বিষয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘আমরা টোটো নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। আইন ভেঙে টোটো চালালে কখনই বরদাস্ত করা হবে না। আগামী সপ্তাহেও অভিযান চলবে।’

অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, হাওড়া শহরে নির্দিষ্ট টোটো চালানোর রুট আছে। কিন্তু তা কেউ মানে না বলেই অভিযোগ। জিটি রোড, বেনারস রোডের মতো ব্যস্ত রাজ্য সড়কগুলি এবং ২ ও ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের নানা অংশে অঘোষিত রুট রয়েছে টোটোর। আর তার জেরে পথ চলতে অসুবিধা হয় হাওড়ার বাসিন্দাদের। এমনকী বেশ কয়েকটি পথ দুর্ঘটনাও ঘটেছে। কোনা মোড় থেকে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে সলপ হয়ে নিবড়া পর্যন্ত টোটো চলে। কিন্তু কয়েক মাস আগে রাজ্য সরকার জাতীয় সড়কে টোটো চলাচল পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে। কিন্তু তারপরও মেজাজ দেখিয়ে টোটো দিব্যি চলত বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। এবার প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেওয়ায় পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ পুলিশ কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালাল বায়ুসেনা কর্মী, তোলপাড় অবস্থা ব্যারাকপুরে

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী থেকে শুরু করে জেলা পরিবহণ দফতরের একাধিক কর্তা এই বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন। হাওড়ায় টোটো নিয়ন্ত্রণ কার্যত অসম্ভব কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অবশেষে পুলিশের সক্রিয় উদ্যোগে এবং টানা অভিযান শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি পাল্টেছে। এই ঘটনায় খুশি হাওড়ার বাসিন্দারা। আগে অবৈধ টোটোর বিরুদ্ধে পুলিশ পদক্ষেপ করলে পাল্টা নিজেদের ক্ষমতা দেখাত টোটো চালকরা। প্রভাবশালী নেতাকে দিয়ে ফোন অথবা পুলিশের উপরতলার যোগাযোগ ব্যবহার করা হতো বলে অভিযোগ। এবার একেবারে উপর থেকেই অ্যাকশন নেওয়া হল বলে সূত্রের খবর।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here