Home আপডেট তিন মাসের মধ্যে বিচার শেষ করে রায় দিতে হবে, পার্কস্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

তিন মাসের মধ্যে বিচার শেষ করে রায় দিতে হবে, পার্কস্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

তিন মাসের মধ্যে বিচার শেষ করে রায় দিতে হবে, পার্কস্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

[ad_1]

সালটা ২০১২। রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডে তখন আলোড়ন পড়ে যায়। পার্ক স্ট্রিটের নাইট ক্লাবের বাইরে এক যুবতীকে গাড়িতে তুলে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে ওই রাতে। এই ধর্ষণের ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় সুমিত বাজাজ, নাসির খানের। তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু অধরা থাকে কাদের খান। তখন টলি অভিনেত্রীর নামও সামনে আসে। যেহেতু কাদের খান ওই অভিনেত্রীর বয়ফ্রেন্ড ছিল। তারপর ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় কাদের খানকে। ২০১৮ সালে সকলের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।

এদিকে কালের গতিতে কেটে যায় সময়ও। অনেকেই ভুলে যান সেই ঘটনার কথা। আর ওই যুবতী মারাও যান। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে সুযোগ বুঝে জামিনের জন্য আবেদন করে পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণে মূল অভিযুক্ত কাদের খান। আজ, সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সুতরাং জেলেই থাকতে হচ্ছে কাদের খানকে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই মামলা নিম্ন আদালতকে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে রায় ঘোষণা করতে হবে। সুতরাং এপ্রিল মাসের মধ্যে রায় বেরিয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে ২০১৫ সালে অন্য তিনজন অভিযুক্তকে কলকাতা নগর দায়রা আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করে। ২০১৫ সালেই নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। তবে ২০১৬ সালে কলকাতা হাইকোর্টে নির্যাতিতার বাবা আবেদন করেছিলেন যাতে অভিযুক্তের সাজার মেয়াদ বাড়ানো হয়। একটি অভিজাত নাইট ক্লাবের সামনে থেকে ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ এই ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয় পার্ক স্ট্রিট থানায়। ১৮ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পলাতক থাকে কাদের খান এবং মহম্মদ আলি। ওই বছরই ১০ মে পাঁচজনের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় চার্জশিট।

আরও পড়ুন:‌ অনুব্রত মণ্ডলের মামলায় ইডিকে কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, দ্রুত শুরু করতে হবে ট্রায়াল

এছাড়া নাসির খান, সুমিত বাজাজ এবং রুমান খানের ১০ বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। ধর্ষণ কাণ্ডের প্রায় চার বছর পলাতক ছিল অভিযুক্ত কাদের খান। ২০১৬ সালে গাজিয়াবাদে গ্রেফতার করা হয় কাদের এবং মহম্মদ আলিকে। ২০১৮ সালে তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। এবার তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতকে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে রায় ঘোষণা করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতকে বিচার শেষ করতেই হবে। এই নির্দেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here