তোর দুচোখের মায়া ~ এভাবে কিছু হয় ; একা পোস্টার মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে - নীল বোতলে জল - নীলাকাশ দিগন্ত জুড়ে মন বলছে না আজ - পারব না আমি তোকে ছাড়তে ; সব ছারখার হয়ে যায় - হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে ঘুম ঘুম ক্লাস রুম জাগে শৈশবের জঠরে বেড়ে চলে ক্ষুধা - মন আজ অস্তিত্বহীন এই নদীর চরে এসে - তুই রাই হবি বলেছিলি - কৃষ্ণ প্রেমে জগতের সুখ যতবার তোর শরীর উপত্যকায় আসি দুচোখ দিয়ে আজও নদী বয়ে যায় যতই ঘৃণা যতই বিষ যতই আক্রোশে ভরিয়ে রাখিস হৃদয় আমার তরে ; মন তোর আমারই বুকে এসে নিষ্পাপ পেঁকো মাছের মতো খেলা করতে চায় - আমিও তোকে জড়িয়ে ধরে একবার সবুজ বনভূমি হতে চাই যেখানে দুটো হৃদয় ছাড়া আর কোনো অনুভব নাই ; এরপর কত সব হিসাবের খাতা ; কত ভাঙাচোরা কথা - চলে দিনলিপি লেখা - তবু কত কাজ - কাজের ফাঁকে আসে ছোট অবসর ; বুভুক্ষু ক্ষুধা নিঙরে পেয়ে যাই - এক ক্লেশ ঘুম - উঠি পড়ি পায়ে ভর দিয়ে - শিরায় শিরার স্নায়ুতে স্নায়ুতে ক্ষয়ে যাই দিনে দিনে যদিও বাড়ছে জীবনের পরিসর ; কেবেলের তারে কাক এসে বসে খুঁটে খাওয়া জীবনের সুখ মেপে নেয় দুবেলা ; আমাদেরও অসুখ বাড়ে দিনে দিনে তবু ত চেয়েছিলাম এই জীবনে এক মহেন্দ্র ভোর তোকে ভালোবাসার পরিনয়ে - জীবনের সকাল - দুপুর - সন্ধ্যা - রাত - একটু অন্য স্বাদে ; ধীরে ধীরে নীরব হয়ে যাই পেশি স্নায়ু যত মুক হয়ে আসে পৃথিবীর সব আলো সব রঙ নিভে গেলে চেনা হাত আঙুল সব অচেনা হয়ে যায় শুধু তোর দুচোখের মায়া কালো মেঘ হয়ে অঝোরে ঝরে হয়তো কোনো একদিন কোনো পাহাড়ের চূড়ায় একলা আমার উষর শরীর ভেজায় । সুচেতনা সেন ~ 10/07/2017