Home আপডেট দণ্ডী–কাণ্ডকে নির্বাচনী প্রচারে আনলেন সুকান্ত, পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল প্রার্থী

দণ্ডী–কাণ্ডকে নির্বাচনী প্রচারে আনলেন সুকান্ত, পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল প্রার্থী

দণ্ডী–কাণ্ডকে নির্বাচনী প্রচারে আনলেন সুকান্ত, পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল প্রার্থী

[ad_1]

আবার ফিরে এল দণ্ডী কাণ্ড। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে আক্রমণ করলেন বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার তপনের দণ্ডী কাণ্ডের গ্রামে এই বিতর্ক উসকে দিয়ে আক্রমণ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তবে পাল্টা উত্তর দিয়েছেন বিপ্লব‌ মিত্র এবং তৃণমূল কংগ্রেস। আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডী কাটানো হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে পরে দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে। সুতরাং বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে তুমুল বাক–বিতণ্ডা শুরু হয়েছে।

লক্ষ্মীবারের দুপুরে এখানে সভা করেন সুকান্ত মজুমদার। আদিবাসী প্রধান এলাকায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুকান্ত মজুমমদার শুরুতেই বলেন, ‘বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তিনজন আদিবাসী মহিলাকে অন্যায়ভাবে দণ্ডী কাটিয়েছিল তৃণমূল। আর তারপর তাদের দলে ফেরানো হয়।’ যদিও ওই মহিলারা এই কথা স্বীকার করেননি বলেই খবর। বরং তাঁরা নিজেরাই দণ্ডী কেটেছিলেন বলে দাবি করেন। এই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন বিপ্লব মিত্র। তিনি আগে বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরত গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে বিপ্লব মিত্র কেন দণ্ডী কাটবেন না? এই এলাকার এখন সভাধিপতি হয়েছেন, চিন্তামনি বিঁহাও। তিনিও আগে বিজেপির পতাকা ধরেছিলেন। তাঁদের কেন দণ্ডী কাটানো হবে না?‌ প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত মজুমদার। আর তাঁর দাবি, ‘নিরীহ আদিবাসীদের দণ্ডী কাটানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন:‌ সাইকেল চালিয়ে বাজারে গিয়ে ইলিশ কিনলেন কীর্তি, চাপে শোরগোল পাকালেন বিরোধীরা

এখন লোকসভা নির্বাচনে এটাই প্রচার করছে বিজেপি। তবে তৃণমূল কংগ্রেস এই নিয়ে ভাবিত নয়। কারণ বিষয়টি মিথ্যে বলে দাবি তাদের। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘এই সব হাস্যকর কথা বলে সুকান্ত মজুমদার মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছেন। দণ্ডী কাণ্ডে অন্যায় হয়েছে স্বীকার করে দল থেকে অভিযুক্ত নেত্রীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। গুজরাট, মণিপুরে অত্যাচারিত জনজাতির মহিলাদের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছেন?‌ এমন ঘটনা দেখান সুকান্ত মজুমদাররা।’ তবে সভাধিপতি চিন্তামনি বিঁহা বলেছেন, ‘মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন বিজেপি প্রার্থী।’

সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতির জেলায় এসে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজের টাকা এবং আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিয়ে থাকলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে বলেছিলেন। মঞ্চে রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসতে বলেছিলেন। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেও কেউ আসেননি। অর্থাৎ অভিষেকের দাবি সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। কারণ ৮দিন হয়ে গেল বিজেপির কোনও নেতা–মন্ত্রী এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি। এই এলাকায় জলের কষ্ট আছে। তা নিয়ে বাসিন্দারা সুকান্তের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন। তখন সুকান্ত বলেন, ‘চিন্তার কোনও কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রীর জলমিশন প্রকল্পে প্রত্যেকের বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে যাবে।’ আর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের কথায়, ‘তপনে পুনর্ভবা নদী থেকে মেগা জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। আর জলকষ্ট থাকবে না।’

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here