Home আপডেট দশমীর রাতে মুর্শিদাবাদে পুজো মণ্ডপে ভাঙচুর, ক্লাবের সদস্যের মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

দশমীর রাতে মুর্শিদাবাদে পুজো মণ্ডপে ভাঙচুর, ক্লাবের সদস্যের মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

দশমীর রাতে মুর্শিদাবাদে পুজো মণ্ডপে ভাঙচুর, ক্লাবের সদস্যের মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

[ad_1]

দশমীর রাতে মণ্ডপে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের কান্দি পুরসভায়। মণ্ডপ ভাঙচুরের পাশাপাশি ক্লাবের সদস্যদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। পুরসভার নির্দল কাউন্সিলরের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এই হামলার অভিযোগ উঠেছে পাশের ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলের স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। গোটা ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘এবারের দশমী থমথমে’, দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সোচ্চার বাংলাদেশের তারকারা

অভিযোগ উঠেছে, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী নীলকান্ত কৈবর্ত ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী তথা খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুপ্রিয় ঘোষ এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দশমীর রাতে কান্দি শহরে ঘোষপাড়া এলাকার হরিবাসর ক্লাবের পুজো মণ্ডপে তারা ভাঙচুর চালায়। এমনকী তারা ক্লাবের সদস্যদেরও মারধর করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এরপর তৃণমূল কাউন্সিলরদের কর্মী সমর্থকরা পরে কান্দি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর গুরুপ্রসাদ মুখার্জির বাড়িতে চড়াও হয়ে ব্যাপক হামলা চালায়। কার্যত পুলিশের সামনেই একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি আহতদের। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নির্দোষ ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে। দশমীর রাতে যখন শহরজুড়ে উৎসবের আমেজ তখনই শহরের কাউন্সিলরের বাড়িতে এমন তাণ্ডবে ও পুজো মণ্ডপে হামলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনার জেরে তৃণমূল কাউন্সিলর সহ উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। দুটি পাড়ার মধ্যে ঝামেলা। বিষয়টি দু’পক্ষকে বসিয়ে মিটমাট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 জানা গিয়েছে, গুরুপ্রসাদ আগে ১০  নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। এখন তিনি ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাকে পুজো মণ্ডপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কিন্তু, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। সেই কারণে এই হামলা বলে দাবি ক্লাবের সদস্যদের। নির্দল কাউন্সিলরের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতেও হামলা চালিয়েছিল। তাঁর বাড়ির লাইট, দরজায় ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর দাবি, তাদের পরিকল্পনা ছিল তাঁকে মেরে ফেলা এবং তাঁর পরিবারের ক্ষতি করা। হিংসার কারণে এসব করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here