[ad_1]
লক্ষ্মীপুজোর মধ্যেই পিঁয়াজের দাম আগুন হয়ে উঠল। যদিও পিঁয়াজ লাগে না লক্ষ্মী পুজোতে। তা সত্ত্বেও হঠাৎ চড়তে শুরু করেছে দাম। যে পিঁয়াজের দাম দু’দিন আগে পর্যন্তও ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে সেটাই আকাশছোঁয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পিঁয়াজের দাম এখন ঘোরাফেরা করছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। পিঁয়াজের দাম সারা দেশেই বাড়ছে। আর এই পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে চাপে পড়েছে আমজনতা। বেশ কিছু দিন আগে খুচরো বাজারে পিঁয়াজের কেজি প্রতি দাম ১০০–১৫০ টাকা পৌঁছেছিল। সেটা দেখেছেন মধ্যবিত্তরা।
কেন দাম বৃদ্ধি হচ্ছে পিঁয়াজের? এখন রবি মরশুমে উৎপাদিত এবং সংরক্ষিত পিঁয়াজই বাজারে আসছে। কিন্তু সেটা পরিমাণে যথেষ্ট নয়। আবার মজুত করে রাখা পিঁয়াজও কমে গিয়েছে। সুতরাং চাহিদার সঙ্গে জোগানের বড় পার্থক্য দেখা দিয়েছে। বিক্রেতারা যে দামে পাচ্ছেন সেটাতে নিজেদের লাভ বসিয়ে আরও বেশি দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ। আবার মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ–সহ অন্যান্য রাজ্যে বর্ষাকালে যে পিঁয়াজের চাষ হয় সেটাই এখন বাজারে আসতে শুরু করে। কিন্তু সেই পিঁয়াজ আসতে দেরি হচ্ছে। সুতরাং বাংলার ঘরে যা আছে তার দাম বেড়ে যাচ্ছে। জোগান কমছে বলেই বাড়ছে দাম। তবে অন্যান্য রাজ্যের পিঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমবে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।
কেমন দামে মিলছে পিঁয়াজ? শহর কলকাতার বাজারগুলিতে পিঁয়াজের দামে চোখে জল আসতে শুরু করেছে ক্রেতাদের। সেই ঝাঁঝ এখন নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষজন। এখন মানিকতলা থেকে লেক মার্কেট, গড়িয়াহাট বাজারে ৬৫ টাকা কেজি দরে পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এখন পিঁয়াজের জোগান আসছে মহারাষ্ট্র থেকে। গত রবি মরশুমে বাংলায় যে পিঁয়াজ হয়েছিল সেটাই এখনও সংরক্ষিত আছে। ওই পিঁয়াজ এখন খুচরো বাজারের চাহিদা মেটাচ্ছে। রাজ্যের সংশ্লিষ্ট টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, বর্ষাকালে পিঁয়াজের চাষ হয়। তার জোগান এবার কম রয়েছে। কলকাতার পাইকারি বাজারে কয়েকদিন আগেও মহারাষ্ট্রের পিঁয়াজ ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। সেটাই এবার ৬৫ টাকা ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: খড়গপুরে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা, একসঙ্গে ৬ জনের মৃত্যুতে আলোড়ন, লরির ধাক্কা গাড়িতে
আর কী জানা যাচ্ছে? কৃষি বিপণন দফতরের সুফল বাংলার স্টলেও পিঁয়াজ খুচরো বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। তাছাড়া দুর্গাপুজোর জন্য কয়েকদিন শহরে লরির চলাচল নিয়ন্ত্রিত ছিল। সেটারও প্রভাব পড়েছে বাজারে। তবে লরি স্বাভাবিকভাবে ঢুকতে শুরু করলে পিঁয়াজের জোগান বাড়বে। এই বিষয়ে টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে বলেন, ‘লরি ঢুকলে দাম কিছুটা কমবে।’ আর সেটা না হওয়া পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি নিয়েই বাজার চলবে। অনেকের আশঙ্কা, পিঁয়াজ আবার সেঞ্চুরি করবে না তো!