Home আপডেট দৈনিক মজুরি ১৬৪ টাকা! পুজোয় বেড়েছে ১০ টাকা, কর্মবিরতি হাওড়ার সাফাইকর্মীদের

দৈনিক মজুরি ১৬৪ টাকা! পুজোয় বেড়েছে ১০ টাকা, কর্মবিরতি হাওড়ার সাফাইকর্মীদের

দৈনিক মজুরি ১৬৪ টাকা! পুজোয় বেড়েছে ১০ টাকা, কর্মবিরতি হাওড়ার সাফাইকর্মীদের

[ad_1]

এই বছর রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গি। যার মধ্যে পুরসভা এলাকাগুলিতেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেই কারণে নিয়মিত সাফাইয়ের উপরে জোর দিচ্ছে পুরসভাগুলি। তবে পুজোর আগে হাওড়া পুরসভার সাফাই কর্মীদের কর্মবিরতি ফলে রাস্তার ধারে ভ্যাটে জমছে জঞ্জালের পাহাড়। সোমবার সকালে হাওড়ার দাশনগর এলাকার সাফাই কর্মীরা কর্মবিরতি পালন করেন। প্রায় ৩০০ সাফাই কর্মী বোরো অফিসে এলেও হাজিরা খাতায় সই করেননি। যার ফলে হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় জঞ্জাল পরিষ্কার করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন: সাফাই কর্মীদের কাজে ফাঁকি রুখতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা

এর আগে শনিবারও কর্মবিরতি পালন করেছিলেন হাওড়া পুরসভার সাফাই কর্মীদের একাংশ। তারপর আবার ফের সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে কর্মবিরতি পালন করলেন সাফাই কর্মীদের একাংশ। মূলত বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে হাওড়া পুরসভার সাফাই কর্মীরা এদিন কর্মবিরতি করেন। তার মধ্যে যেমন রয়েছে দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির দাবি, তেমনই বোনাসের দাবি তুলেছেন সাফাই কর্মীরা। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সাফাই কর্মীরা কাজ করলেও তাঁদের দৈনিক মজুরি মাত্র ১৬৪ টাকা। পুজোর আগে মাত্র ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। পুজোর সময় বোনাসও দেওয়া হয় না। চাকরির নিরাপত্তা এবং চিকিৎসার কোনও সুযোগ নেই। এই নিয়ে ৯ দফা দাবির ভিত্তিতে তারা লাগাতার আন্দোলন করছেন। বেশ কয়েকবার হাওড়া পুরসভার গেটেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কর্মীরা। হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় বিশ্বাসের কাছেও তারা স্মারকলিপি দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি না হওয়ায় তাঁরা কর্মবিরতি পালন করছেন বলে জানান। 

তাঁরা জানিয়েছেন, তাদের হুঁশিয়ারি যদি সহানুভূতির সঙ্গে তাঁদের দাবি বিবেচনা না করা হয়, তাহলে তাঁরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এদিকে, তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আজই হাওড়া পুরসভায় ফের বৈঠকে বসার কথা। এখন সেই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে আছেন সাফাই কর্মীরা।

হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘এটা দিল্লি নয় যে আন্দোলনকারীদের ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এখানে সহনশীলতা দেখানো হয়। শনিবার তারা আন্দোলন করেছিলেন। সেদিন ঠিক হয়েছিল সোমবার বসে বিষয়টি আলোচনা করা হবে এ নিয়ে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও ওরা আজ আন্দোলনে নেমেছেন। সব কিছুর একটা নিয়ম রয়েছে। যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁরা কর্মসংস্কৃতি বোঝেন না এবং হাওড়ার মানুষের ভালো চান না।’

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here