Home আপডেট দোকানে চোর ঢুকে নিয়ে গেল ইলিশ–পাবদা, নববর্ষের প্রাক্কালে হাপিত্যেশ মৎস্য ব্যবসায়ীদের

দোকানে চোর ঢুকে নিয়ে গেল ইলিশ–পাবদা, নববর্ষের প্রাক্কালে হাপিত্যেশ মৎস্য ব্যবসায়ীদের

দোকানে চোর ঢুকে নিয়ে গেল ইলিশ–পাবদা, নববর্ষের প্রাক্কালে হাপিত্যেশ মৎস্য ব্যবসায়ীদের

[ad_1]

‘‌দেখুক পাড়া–পড়শিতে কেমন মাছে গেঁথেছি বর্শিতে’‌—এটা বিখ্যাত একটি সিনেমার গান। কিন্তু এখন সেটা চোরের কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে। নববর্ষের প্রাক্কালে সেই চোর মাছের দোকানে ঢুকে হাপিস করে দিয়েছে ইলিশ–পাবদা সহ একাধিক মাছ। নববর্ষে এই সব মাছ পাতে পড়ুক সেটা চায় আমবাঙালি। কিন্তু পদ্মার ‘রুপোলি শস্য’ এভাবে খোয়া যাবে তা ভাবতেও পারেননি মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এখন বাজারে বহুমূল্য পদ্মার ইলিশ মাছ এবং পাবদা মাছ। এইসব মাছ নববর্ষের সকালে বিক্রি করে বাড়তি কড়ি বাড়ি নিয়ে যাবেন বলে আশা করেছিলেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তাই চড়া দামে পদ্মার ইলিশ ও প্রমাণ সাইজের পাবদা কিনে মজুত করেছিলেন কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী। কিন্তু নববর্ষের ঠিক আগে শনিবার চুরি হয়ে গেল সেই সব ইলিশ–পাবদা।

এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় এখন হাপিত্যেশ করছেন নদিয়ার রানাঘাটের আনুলিয়ার মাছ ব্যবসায়ীরা। আর চোর চুরি করে মহা আনন্দে চম্পট দিয়েছে। রসিকতা করে অনেকে বলছেন, মাছ চোরেরা নাকি এখন গান গাইছে—দেখুক পাড়া পড়শিতে কেমন মাছে গেঁথেছি বর্শিতে। আর পুলিশ এই ঘটনার অভিযোগ পেয়ে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, এই মাছ চুরির পিছনে আছেন অন্য মৎস্য ব্যবসায়ীরা। চুরির ধাঁচ দেখে এটাই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। কোনও পেশাদার চোর এই কাজ করেনি। তবে কি ব্যবসায় শত্রুতার জেরে চুরি? উঠছে প্রশ্ন। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন:‌ ‘শ্বেতপত্র’ প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার, উল্লেখ নেই ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দের কথা

এদিকে রাত পোহালেই রবিবার বাংলা নববর্ষ। এই দিনে গৃহকর্তারা একটু হাত খুলে খরচ করেন। হরেকরকম মাছ কেনেন। আর তাই নববর্ষের প্রাক্কালে হাওড়ার পাইকারি বাজার থেকে কয়েক কুইন্টাল পদ্মার ইলিশ এবং পাবদা কিনে মজুত করে রেখেছিলেন আনুলিয়ার জগপুর রোডে অবস্থিত বাজারের কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী। বাড়তি কড়ি আয় করার জন্যই এই কাজ তাঁরা করেছিলেন। শনিবার এবং রবিবার দেদার বিকোবে এই আশায় দোকানে প্লাস্টিকের ক্যারেটে বরফ দিয়ে মাছগুলি সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন মাছ ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আজ সকালে দোকান খুলে দেখেন ইলিশ–পাবদা মাছ হাপিস। তাতেই মাথায় হাত পড়ে যায় তাঁদের।

অন্যদিকে এই ঘটনায় গোটা বাজারে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী চোখের জলও ফেলেছেন। কিন্তু রূপোলি শস্য অধরাই থেকে গিয়েছে। এই ইলিশ মাছ পদ্মা নদীর। তাই দামও প্রচুর। সেখানে এভাবে সেইসব মাছ খোয়া গেলে কপালে ভাঁজ তো পড়বেই। এই বিষয়ে কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ‘হাওড়ার বাজার থেকে দেড় গুণ দামে ইলিশ আর পাবদা কিনে এনেছিলাম। পয়লা বৈশাখ দাম বেশি থাকবে ভেবেই বিক্রি না করে মজুত রেখে ছিলাম। কিন্তু এভাবে চুরি হয়ে যাওয়ায় আমরা সর্বস্বান্ত হলাম।’‌ এই খবর থানায় পৌঁছতেই বাজারে আসে রানাঘাট থানার পুলিশ। উপস্থিত হন রানাঘাটের পুরপ্রধান এবং স্থানীয় আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানও।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here