Home আপডেট ধরা না-পড়লে আরও ৩টে খুন করতাম, গ্রেফতারির পর বলল হেদুয়ায় বধূ খুনে অভিযুক্ত

ধরা না-পড়লে আরও ৩টে খুন করতাম, গ্রেফতারির পর বলল হেদুয়ায় বধূ খুনে অভিযুক্ত

ধরা না-পড়লে আরও ৩টে খুন করতাম, গ্রেফতারির পর বলল হেদুয়ায় বধূ খুনে অভিযুক্ত

[ad_1]

কলকাতার হেদুয়া পার্ক এলাকায় প্রৌঢ়া খুনের ঘটনায় কালিম্পংয়ের লাভা থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সৌমিক চট্টোপাধ্যায়। খুনের কথা স্বীকার করে ধৃত জানিয়েছে, পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যেতে অস্বীকার করায় মীনাক্ষী ভট্টাচার্য নামে ৫৫ বছর বয়সী ওই বধূকে খুন করেছেন তিনি। এমনকী নিজের প্রাক্তন স্ত্রী, তাঁর বর্তমান স্বামী ও সন্তানকেও খুনের পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছেন ধৃত।

গত ১১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বড়তলা থানা এলাকার রাজাবাগান স্ট্রিটের ওই বাড়িতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন মীনাক্ষী ভট্টাচার্য। মীনাক্ষীদেবীর ১৫ বছর বয়সী ছেলেও গুরুতর আহত হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মীনাক্ষীদেবীর স্বামীর বয়স প্রায় ৭০ বছর। বেশি বয়সে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সৌমিক চট্টোপাধ্যায় নামে এক যুবক বাড়িতে যাতায়াত করত। সন্দেহের তির তারই দিকে। এর পর সৌমিকের বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর শুরু করেন আধিকারিকরা। জানতে পারেন, সৌমিক ও তাঁর মোটরসাইকেল কেউই বাড়িতে নেই। এর পর মোটরসাইকেলের নম্বর ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায় মোটরসাইকেল রয়েছে কালিম্পংয়ের লাভায়। সেখানে এক হোম স্টে থেকে মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জেরায় ধৃত জানিয়েছে, ২০১৬ সালে মীনাক্ষী দেবীর সঙ্গে তাঁর অনলাইনে পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব গভীর হলে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বিষয়টি মীনাক্ষীদেবীর স্বামী জানতেন। এর পর ২০২০ সালে বিয়ে করেন সৌমিক। কিন্তু দাম্পত্য বেশিদিন টেকেনি। ২০২২ সালে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর পর ফের মীনাক্ষীদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন সৌমিক। কিন্তু ছেলে বড় হয়ে গিয়েছে বলে আর সম্পর্কে থাকতে চাননি তিনি। এতেই মীনাক্ষীর ওপর আক্রোশ জন্মায় সৌমিকের। তবে প্রাক্তন স্ত্রী ও তাঁর পরিবারকে তিনি কেন খুন করতে চান তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ধরা না পড়লে আরও ৩টে খুন করতাম।

 

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here