Home বিদেশ নেপালের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে দিল্লির হাত! গদি টলমল প্রচন্ডর, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র আবহে নতুন বিতর্ক

নেপালের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে দিল্লির হাত! গদি টলমল প্রচন্ডর, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র আবহে নতুন বিতর্ক

নেপালের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে দিল্লির হাত! গদি টলমল প্রচন্ডর, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র আবহে নতুন বিতর্ক

[ad_1]

প্রচন্ডকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী করার নেপথ্যে ভারতের হাত। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের মতো নেপালে ভারতকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা? পুস্প কমল দহল প্রচন্ড আচরণ দেখে বেজিং কী বলল? নেপালে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক সংকট। নেপালে প্রচন্ডর পদত্যাগ চাইছে শাসক থেকে বিরোধী সব দল। চীনের সফরের আগে ভারত নিয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী বিস্ফোরক দাবির নেপথ্যে কোনও বিশেষ কারণ? অবশ্য ভারতকে ভিলেন বানানোর প্রচেষ্টা প্রচন্ড থাকলেও নিজেই নিজের কুর্সি নিয়ে পড়লেন চরম সঙ্কটে। নেপালে প্রচন্ডকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগে নাকি হাত ছিল ভারতের ব্যবসায়ীর? সম্প্রতি প্রচন্ডর এমনই মন্তব্য নিয়ে কাঠমাণ্ডুর রাজনীতিতে হইচই। কে সেই ব্যবসায়ী যার এত বড় ইনফ্লুয়েন্স কাজ করার দাবি? বাংলাদেশের ভোট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নয়া ভিসা নীতি যখন একটু ঠান্ডা হওয়ার পথে তখন অন্যদেশের ভোটে ভারতের নাক গলানো নিয়ে বড়সড় অভিযোগ।

অবশ্য প্রচন্ডর নেপালের গদিতে বসা নিয়ে বেশ খুশি ছিল চীন এমনটাই বলছে বিশেষজ্ঞরা। বাম দলগুলোর নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর চীন সরকারের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিল অবশ্য অভিনন্দন জানানো হয়েছিল ভারতের পক্ষ থেকেও। ভারতের তরফ থেকে কী প্রতিক্রিয়া দেওয়া হল নেপালকে? সত্যিই কি জনতার নির্বাচন করেছিল প্রচন্ডকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে? ৩ রা জুলাই একটি বুক লঞ্চ ইভেন্টে যান প্রচন্ড। সেখানে Roads to the valley: The legacy of Sardar Pritam Singh in Nepal’ শীর্ষক একটি বই উদ্বোধনে প্রচন্ড বলেন সর্দার প্রীতম সিং বারবার দিল্লিতে গিয়েছিলেন কাঠমান্ডুর রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তিনি দফায় দফায় আলোচনা করেন। প্রচন্ডকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসানোর চেষ্টা প্রীতম সিং করে গিয়েছেন বারবার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেপালের বড় বিজনেসম্যান প্রীতম সিং আসলে ভারতীয় ছিলেন। কিন্তু প্রচন্ডকে প্রধানমন্ত্রী করানোর জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা। এই মন্তব্যই হজম করতে পারছেন না কাঠমান্ডুর বিরোধী সহ শাসকদল। প্রচন্ড বিরোধী এ আগুনে এর মধ্যেই আরেক পশলা ঘি ঢেলে দিয়েছেন সিপিএন-ইউএমএল চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে তার বক্তব্যের বিপরীতে ব্যাখ্যা চান না। তারা চান তাঁর পদত্যাগ কারণ প্রচন্ডর মন্তব্য জাতীয় স্বাধীনতা, অখণ্ডতা, সংবিধান এবং পার্লামেন্টের প্রতি আঘাত করেছে। অথচ ৭ মাস আগের খবর বলছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সিপিএন-ইউএমএল
দলের সঙ্গে চুক্তি হয়েই প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন প্রচন্ড ডিল হয় পরের দফায় প্রধানমন্ত্রী হবেন ওলি।

তার মধ্যে একটা মন্তব্যে রীতিমত টালমাটাল পুস্পকমলের গদি। ভারতের তরফ থেকে এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে প্রচন্ডর দাবি তার মন্তব্যকে তিল থেকে তাল করা হচ্ছে এক্ষেত্রে নেপালের কূটনৈতিক মহলের দাবি, নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারত হস্তক্ষেপ করুক এমন ইঙ্গিত করা উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রীর তার উচিত ছিল রাজনীতি এবং কূটনীতি নিয়ে এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা। সেপ্টেম্বরেই চীনে সফরের কথা রয়েছে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর। এই মন্তব্যের পরিণতি কী সেখানেও ভুগতে হবে তাঁকে সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here