Home আপডেট পথবাতি বসাতে জমা পড়ল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার–ভাতার টাকা, পঞ্চায়েতের উদ্যোগে খুশি গ্রামবাসীরা

পথবাতি বসাতে জমা পড়ল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার–ভাতার টাকা, পঞ্চায়েতের উদ্যোগে খুশি গ্রামবাসীরা

পথবাতি বসাতে জমা পড়ল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার–ভাতার টাকা, পঞ্চায়েতের উদ্যোগে খুশি গ্রামবাসীরা

[ad_1]

গ্রামে রাস্তা আছে, কিন্তু পথবাতি নেই। প্রায় তিন কিলোমিটার এমনই রাস্তা আছে। আর সেখানে কোনও পথবাতি নেই বলে অভিযোগ। উলটে তথ্য উঠে এলো রাস্তায় থাকা পথবাতি চুরি–ছিনতাই হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে এমন কাজ চলায় মানুষের পথ চলতে সমস্যা বেড়েছে। আর চোরদের ধরাও যায়নি। এমন পরিস্থিতি যখন সামনে এল তখন গ্রাম পঞ্চায়েতের তহবিল ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অবশেষে এই সমস্যা মেটাতে এগিয়ে এলেন পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধান। তিনি ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ ও পঞ্চায়েতের তিন মাসের ভাতা থেকে টাকা দিয়ে সমস্যার প্রাথমিক সমাধান করলেন। তাঁর এই কাজ দেখে তৃণমূল কংগ্রেসের বাকি ১২ জন সদস্যও তিন মাসের ভাতা দিলেন। উন্নয়নের কাজে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকার তহবিল গড়ে উঠল মালদার কালিয়াচক–১ ব্লকের আলিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে।

এই খবর চাউর হয়ে গিয়েছে। মানুষ খুশি উন্নয়নের কাজ থমকে নেই দেখে। আলিনগর পঞ্চায়েতে ২৩ জন সদস্য। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ১২জন, কংগ্রেসের ৮ জন, বিজেপির ২জন এবং একজন নির্দল রয়েছেন। বোর্ড গঠনের সময় নির্দল সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তাই তাদের এখন ১৩ জন সদস্য। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান হলেন আখতারি খাতুন। তাঁর কথায়, ‘নির্বাচিত হওয়ার পরই গ্রামের বাসিন্দা এবং ছাত্রছাত্রীরা আমার কাছে সংশ্লিষ্ট রাস্তায় পথবাতি লাগানোর দাবি জানান। পঞ্চায়েতের তহবিলে অর্থের ঘাটতি থাকায় উপভোক্তা হিসেবে দু’‌বছর ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে যে ১২ হাজার টাকা পেয়েছি এবং প্রধান পদের প্রত্যেক মাসে পাঁচ হাজার করে ভাতার টাকা পঞ্চায়েতের তহবিলে দিচ্ছি। দলের বাকি ১২ জন সদস্যও তিন মাসের ভাতার টাকা দিচ্ছেন।’

এদিকে এই তহবিল দিয়ে পথবাতি লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে কালিয়াচক পলিটেকনিক কলেজ পর্যন্ত রাস্তায় পথবাতি নেই বলে অভিযোগ। এবার এই টাকায় সেই রাস্তায় পথবাতির ব্যবস্থা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। একইসঙ্গে আরও কিছু রাস্তায় পথবাতির ব্যবস্থা করা হবে। এমনই পরিকল্পনার কথা জানালেন প্রধান আখতারি খাতুন। এই এলাকার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের হাত দিয়ে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকার প্রতীকী চেক তুলে দেওয়া হয় গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসারদের হাতে।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌দুয়ারে সরকার’ শিবিরে গিয়ে মহিলাদের মিলল‌ শাড়ি, মাংস–ভাতে দেদার খানাপিনা

অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েতের বিরোধী দল সমালোচনা করতে শুরু করেছে। তাতে রাজনীতি নিয়ে আসায় জলঘোলা হয়। এই বিষয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির নিজস্ব তহবিলে টাকার ঘাটতির কথা শুনি। কিন্তু আলিনগর পঞ্চায়েত প্রধান এবং ১৩ সদস্য তাঁদের তিন মাসের ভাতার টাকা তহবিলে দিলেন এলাকার উন্নয়নের জন্য। জনপ্রতিনিধিরা যদি এগিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ান, তাহলে উন্নয়নের কাজ আরও এগিয়ে যাবে।’ আর এই পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রুহুল শেখ পাল্টা বলেন, ‘ভাতা ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলে দেওয়ার জন্য তৃণমূলের লোক–দেখানো রাজনীতি আছে।’

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here