Home বিদেশ পৃথিবীর ভয়ানক যোদ্ধা, কুকরির তেজেই কাঁপে শত্রু! পুতিনের প্ল্যান বি, নিঃস্ব নেপাল

পৃথিবীর ভয়ানক যোদ্ধা, কুকরির তেজেই কাঁপে শত্রু! পুতিনের প্ল্যান বি, নিঃস্ব নেপাল

পৃথিবীর ভয়ানক যোদ্ধা, কুকরির তেজেই কাঁপে শত্রু! পুতিনের প্ল্যান বি, নিঃস্ব নেপাল

[ad_1]

হামাসের ছায়া আছে এদের শরীরে? কুকরির তেজেই এদের যুদ্ধ টেকনিক বুকে কাঁপুনি ধরায়। পুতিনের এই খতরনাক যোদ্ধাদের চক্রব্যূহে আটকে যাচ্ছে ইউক্রেন। কাঁটার বর্মে ঢাকা এই যোদ্ধাদের আসল পরিচয় জানেন? ইউক্রেনের পেছনে এরাও জোঁকের মতো আটকে আছে। হাতে বিষ মাখানো অস্ত্র, কিসের লোভে যুদ্ধের গন্ধ খোঁজে এঁরা? বড় সিক্রেট ফাঁস। মস্কোর জাল কাটা কঠিন, ওয়াগনার হাতছাড়া হতেই পুতিনের প্ল্যান বি রেডি। যে চক্রের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে নেপাল। শুধু ভাড়াটে ওয়াগনার ফোর্স নয়, নেপালের নির্ভীক গোর্খারাই কি পুতিনের তুরুপের তাস? ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অপারেশন চালাতে বেআইনি পথে পুতিন। সোজা নয় বাঁকা পথ ধরেই রাশিয়ার নাগাল পাচ্ছে দুর্ধর্ষ গোর্খারা। নেপালের পর্বতময় প্রদেশে যে গোর্খাদের বাস। পাহাড়ি আবহাওয়া, প্রতিকূল পরিস্থিতি, দুর্গম পথ তাদের হাতের তালুর মতো চেনা।

এই দুর্গমতা আর প্রতিকূলতাই তাদের দুর্ধর্ষ করে তুলেছে।
ইউক্রেন আক্রমণের পর সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই বিদেশি যোদ্ধাদেরকেই আহ্বান জানিয়েছেন। তবে শুধু গোর্খা নয়। নেপালের চরম দারিদ্রতা, টালমাটাল পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বড় রিস্ক নিয়ে দলে দলে নেপালি যুবকরা রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন। গোর্খারা রিস্ক নিতে ভয় পায়না। নেপালের পার্বত্য এলাকার দুঃসাহসিক যোদ্ধা গোর্খা! যুদ্ধই তাঁদের পেশা। বছরের পর বছর ধরে তাঁরা নিজস্ব প্রাচীন পন্থায় যুদ্ধ করে আসছেন। বিভিন্ন দেশে যুদ্ধের জন্যও গোর্খাদের ডাক পড়ে। ঐতিহ্য বহন করতে আজও তাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের সঙ্গে রাখেন ১৮ ইঞ্চি লম্বা বাঁকা ছুরি বা কুকরি। কুকরি নিয়ে গোর্খাদের মধ্যে নানা প্রাচীন প্রথার চল রয়েছে। তারা আধুনিক পদ্ধতিতে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রও ব্যবহার করে থাকেন। সেই গোর্খারাই টার্গেটের দিকে এগিয়ে দিচ্ছে পুতিনকে। পুতিন সরকারের জবরদস্ত প্ল্যান ফাঁস করল নেপাল পুলিশ। কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলো মস্কোকে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর হয়ে লড়াই করতে গিয়ে অলরেডি ৬ নেপালি সেনার মৃত্যুর ঘটনায় কাঠমান্ডুর তরফে কূটনৈতিক স্তরে মস্কোর কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মস্কোর কাছে ক্ষতিপূরণ ও চেয়েছে কাঠমান্ডু। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে জোর করে নেপালি নাগরিকদের নিয়োগ নিয়েও কড়া মন্তব্য করেছে নেপাল। সাফ বলা হয়েছে, আগামিদিনে যেন নেপালের কোনও নাগরিককে সেনা বাহিনীতে যোগ না দেওয়ায় রাশিয়া। এই মুহূর্তে যারা রুশ ফৌজে রয়েছেন তাদের যত দ্রুত সম্ভব নেপালে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এবার নেপাল পুলিশের দাবি, মানব পাচারকারী চক্রের ১০ মাথাকে অলরেডি তারা গ্রেফতার করেছে। জানা গেছে, ওই চক্রের মাধ্যমেই রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে লড়তে যাওয়া ছ’জন নেপালি ভাড়াটে যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। কিভাবে চলে এই চক্রের কাজ? প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা বেকার নেপালি তরুণদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ দেওয়ার নাম করে তাঁদের ট্যুরিস্ট ভিসায় আমেরিকায় পাঠাতেন। তার পর রুশ চক্রের মাধ্যমে সামান্য প্রশিক্ষণ দিয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধে পাঠানো হত।

চলতি বছরের জুন মাসের বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী অনেকে স্টুডেন্ট ভিসায় নেপাল থেকে রাশিয়ায় যান। যখন রুশ সেনাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয় তখন প্রতিদিনের নতুন আইন নেপালিদের জন্য নিয়ে আসে সুবর্ণ সুযোগ। রুশ সেনাবাহিনীতে বিদেশীদের যোগদান অনেক সহজ হয়ে যায়। নেপালের চরম দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পেতে বড় রিস্ক নিয়ে নেপালিরা লিখিত এবং মেডিকেল পরীক্ষার পর রাশিয়ান সেনাবাহিনী জয়েন করে। প্রশিক্ষণের সময় নেপালিদের ৬০ হাজার নেপালি রুপির সমান বেতন দেওয়া হয়। অনেকের সঙ্গে চুক্তি হয়ে গেছে, প্রশিক্ষণের পরে কেউ কেউ তিন লাখ নেপালি রুপির বেশি বেতন পান। না, এখানেই শেষ নয়। এক বছরের চুক্তি শেষ হওয়ার পরে, সৈন্যরা রাশিয়ান পাসপোর্ট পাবেন, তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের রাশিয়ায় আনতে পারবেন। এইসব প্রলোভনের ফাঁদেই পা দেন নেপালি তরুণরা। কিন্তু কেন রুশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করাটাই নেপালিদের জন্য এত ভালো সুযোগ বলে মনে হল? বিশেষজ্ঞদের মতে নেপালে ভালো সুযোগের অভাব রয়েছে ফলে দেশটার তরুণরা বিদেশি সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছে।

এটা তো ঠিক, সেনাবাহিনীতে তাঁরা কয়েক মাসে যে পরিমাণ টাকা উপার্জন করেছে তার সমপরিমাণ আয় অন্য কোনো খাত থেকে করতে গেলে অন্তত কয়েক বছর সময় লেগে যেতো। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে, রিস্ক আছে জীবনের। কিন্তু, তারপরেও রাশিয়ায় পারি দেওয়া নেপালিরা বলছেন জীবনের মায়ায় নেপালে ফিরে গেলে, সেখানে কী তাঁরা চাকরি পাবে? তবে এই বিষয়টা নেপালের নীতির সাথে যায়না। কারণ, ১৯৪৭ সালে নেপালি নাগরিকদের বিদেশি সেনাবাহিনীতে নিয়োগের বিষয়ে ব্রিটেন, নেপাল এবং ভারতের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছিল। চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে নেপালি নাগরিকদের ভারতীয় ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু, রাশিয়ার সাথেৎএই বিষয়ক কোনো চুক্তি নেই নেপালের কিন্তু ব্রিটেনের হয়ে যুদ্ধ করলেও গোর্খারা সে দেশের নাগরিকত্ব পান না। এমনকি, তাঁদের বেতন কাঠামো, পেনশন সাধারণ ব্রিটিশ সেনার তুলনায় কম। বেতন এবং পেনশনের বিবিধ দাবিতে দীর্ঘ দিন লড়াই চালাচ্ছেন নেপালি গোর্খারা। সেক্ষেত্রে, লাইফ রিস্কের পরেও রাশিয়াকে বেছে নিয়েছে গোর্খারা। আর এখন জীবন দিয়ে তার দাম চোকাতে হচ্ছে নেপালিদের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here