[ad_1]
শীত পড়েছে বঙ্গে। তাই লোকাল ট্রেনে চেপে বাড়ি ফেরার সময় যাত্রীরা গুটিসুটি হয়ে বসে থাকেন সিটের এক কোণায়। বাইরে থেকে আসা হিমেল হাওয়ার দাপট চুল উড়িয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু এমন আবহেই তৈরি হল আতঙ্কের পরিবেশ। কারণ লোকাল ট্রেনের সিটে কেউ বসে কেউ দাঁড়িয়ে সফর করছেন। এমন সময় ট্রেনের সিটের নীচ থেকে থাকা বাক্স থেকে ভেসে এল হিস্ হিস্ শব্দ। ব্যস, শীতের আবহেও তখন ঘামতে শুরু করেছেন যাত্রীরা। দেখা দিয়েছে গোখরো! বজবজ লোকাল থেকে উদ্ধার হল ৬টি গোখরো সাপ। আর তাতেই হইহই রব উঠে যায় যাত্রীদের মধ্যে।
এদিকে যাত্রীরা বুঝতে পারেন সিটের নীচে থাকা বাক্স থেকে ভেসে আসছে হিস্ হিস্ শব্দ। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় আরপিএফকে। আরপিএফ এসে ট্রেনের সিটের নীচ থেকে বাক্স বের করে উদ্ধার করেছে গোখরো সাপগুলিকে। তখন তাদের চক্ষুও চড়কগাছ। সঙ্গে সঙ্গে খবর পেয়ে যায় বন দফতরে। বনকর্মীরা এসে সেগুলি নিয়ে যায়। সুন্দরবন এলাকা থেকে গোখরো সাপগুলিকে পাচার করতে রাখা হয়েছিল বলে মনে করছেন বন দফতরের কর্তারা। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ বজবজ লোকালের এই ঘটনায় শিউরে উঠেছেন যাত্রীরা। ট্রেন শিয়ালদা স্টেশনে ঢুকতেই একলাফ দিয়ে নেমে দৌড়ান যাত্রীরা। বজবজ লোকালের কামরার সিটের নীচ থেকে বাঁশের ৬টি বাক্স উদ্ধার করতেই মেলে বিশাল সাইজের গোখরো সাপ।
অন্যদিকে আজ, সোমবারও যাত্রীদের মধ্যে দেখা গেল একই আতঙ্কের ছবি। এখন বজবজ লোকালের পাশাপাশি সুন্দরবনের দিক থেকে আসা একাধিক লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা এখন ট্রেনে উঠেই সিটে বসার আগে নীচে তাকিয়ে দেখছেন কিছু আছে কিনা। অর্থাৎ সিটের তলায় কোনও বাক্স আছে কি না। বনকর্মীরা জানান, এই গোখরোগুলি তীব্র বিষাক্ত জাতের। পাচারকারীরা অবশ্য বেগতিক দেখে গা ঢাকা দেয়। লোকাল ট্রেনে সাপ তাও গোখরো এটাই সবাইকে এখন ভাবিয়ে তুলেছে। এই সাপগুলি কাউকে ছোবল মারলে নিশ্চিত মৃত্যু বলেই মনে করছেন বন দফতরের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ‘কেন আবাস যোজনার ঘর জোটেনি?’ জলপাইগুড়ি–বাঁকুড়ায় বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় দল
এছাড়া আরপিএফ সূত্রে খবর, প্রত্যেকটি বাক্সের ভিতরে ছিল বিশাল সাইজের গোখরো সাপ। এই কামরাতেই যাত্রীদের সঙ্গে ভিড়ে মিশে ছিল সাপ পাচারকারীরা। বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসায় তারা গা ঢাকা দেয়। যার ফলে কাউকে ধরা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আবার কয়েকদিন আগে হাওড়া–ঝাড়খণ্ডের একটি ট্রেনে সাপ দেখিয়ে লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছিল। সেক্ষেত্রে এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। রেল পুলিশ জানান, সম্ভাব্য সবদিক মাথায় রেখেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।