Home বিদেশ বাংলাদেশকে হাতের মুঠোয় নিতে পারে কোন দেশ ? আমেরিকা-চিন-রাশিয়া নাকি ভারত ? কারা চায় না আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক

বাংলাদেশকে হাতের মুঠোয় নিতে পারে কোন দেশ ? আমেরিকা-চিন-রাশিয়া নাকি ভারত ? কারা চায় না আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক

বাংলাদেশকে হাতের মুঠোয় নিতে পারে কোন দেশ ? আমেরিকা-চিন-রাশিয়া নাকি ভারত ? কারা চায় না আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক

[ad_1]

।‌। ।।

বাংলাদেশকে নিতে পারবে কে? চীন রাশিয়া নাকি আমেরিকা নাকি ভারত? একটা বলয়ের মধ্যে বাংলাদেশকে রেখে দেওয়ার চেষ্টা। বাংলাদেশ কি সত্যি সত্যি কোনদিন স্বাধীন ভাবে চলতে পারবে না? এই দেশটাকে নিয়ে যে পরিমাণ টানাটানি চলছে সেটা অন্য কোন দেশের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। কার শক্তি বেশি ভারতের আমেরিকার চীনের নাকি রাশিয়ার? বাংলাদেশকে হাতে পেলে বাজিমাত করবে সেই দেশটা ।

একাত্তরের সেই স্বাধীনতা সত্যিই কি মস্তিষ্কে ঢুকতে পেরেছে? বাংলাদেশের উপর একটা তীব্র এটেনশন তৈরি হচ্ছে। বিগত ১৫-২০ বছরে একটা কাঠামো তৈরি করতে পেরেছে দেশটা। যার একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আছে। চীন রাশিয়া আমেরিকা ভারত ফ্রান্স সবাই টানাটানি করছে বাংলাদেশকে নিয়ে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রাশিয়া আর চীনের বিরোধ দৃশ্যমান। যার প্রভাব সরাসরি এসে পরছে বাংলাদেশের উপর। এদিকে চীন এবং ভারতের ভূ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে। মাঝখানে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বুদ্ধি করে কোন একটা দেশকে বিশেষ অ্যাটেনশন দিচ্ছে না। সব দেশের সাথেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে হাসিনা সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাংলাদেশ সরকার বুঝতে পেরেছে কোন একটা দেশকে বিশেষ পাত্তা দেওয়া মানে অন্য দেশগুলো বাংলাদেশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। বাংলাদেশের উপর প্রভাব বিস্তারে সব দেশ বাণিজ্যকে ব্যবহার করতে চাইছে।

একটা ছোট্ট হিসেব দেখবেন। চীন বাংলাদেশের রপ্তানি করে প্রায় ১৬ থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে মাত্র ৭৫ কোটি ডলারের পণ্য। বাংলাদেশকে তারা বছরে ১০০ কোটি ডলারের সাহায্য দেয়। অন্যদিকে ভারত বাংলাদেশের রপ্তানি করে বছরে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। কিন্তু আমদানি করে মাত্র ২৬ কোটি ডলারের। চীন রাশিয়া আমেরিকা ভারত ফ্রান্স সকলেই বাংলাদেশের অবকাঠামোখাতে ব্যাপক সাহায্যের প্রস্তাব দিচ্ছে। বাংলাদেশের কাছে এদিক ওদিক থেকে নানান অফার আসছে। চ্যালেঞ্জ বাড়ছে দেশটার। চীনের তুলনায় ভারত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের উপর তাদের সাংস্কৃতিক প্রভাবে। আর এক্ষেত্রে সব দেশের থেকেই এগিয়ে রয়েছে ভারত। চীন দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য সামনে রেখে খেলছে। কূটনীতিকরা বলছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে বেজিং। আবার বিএনপির সঙ্গেও সম্পর্কের মাধ্যমে তারা একটা ভারসাম্য রাখছে। এই খেলাটা যদি বাংলাদেশ সরকার ধরতে না পারে। তবে হাসিনা সরকারের সমূহ বিপদ হতে পারে।। এটা ঠিক সব দেশের থেকেই বাংলাদেশ নিজস্ব কৌশলে সুবিধা নিচ্ছে।।

আমেরিকা র প্রধান উদ্দেশ্যই চীনের বলয় থেকে বাংলাদেশকে বের করে আনা। চীন বিরোধী বন্ধু সংগ্রহে বাংলাদেশকে উপরের তালিকায় রেখেছে আমেরিকা।। সামরিক শক্তিতে চীন সংখ্যায় আমেরিকার সমান তবে দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে চীন আমেরিকার থেকে এখনো পিছিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশকে সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করে চলেছে আমেরিকা। বাংলাদেশে বর্তমানে যতগুলো বড় বড় মেগা প্রকল্প হচ্ছে সবগুলোতেই চীনের অংশগ্রহণ বেড়ে গেছে আমেরিকা কিছুটা পিছিয়ে পড়ছে।এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধকে সামনে রেখে আরো কাছাকাছি এসেছে চীন রাশিয়া। দুই দেশের সম্পর্ক অন্য উচ্চতায় বিরাজ করছে। বাংলাদেশের দুটো দেশই বিপুল বিনিয়োগ করছে। নির্বাচনে জিতে যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। তবে বোঝা যাবে আসল সমীকরণ কি হতে পারে। ক্ষমতায় যদি না আসে তাহলে ও বোঝা যাবে কোন দেশ হাসিনা সরকারকে চাইছিল আর কারা নয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খুব বড় চ্যালেঞ্জ এই মুহূর্তে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here