Home বিদেশ বাংলাদেশী ট্যুরিস্টরা পাসপোর্ট গে’রোয়! ফটোকপি না থাকলে ? যে কাজে দেশে ফেরার দরজা খুলে যাবে

বাংলাদেশী ট্যুরিস্টরা পাসপোর্ট গে’রোয়! ফটোকপি না থাকলে ? যে কাজে দেশে ফেরার দরজা খুলে যাবে

বাংলাদেশী ট্যুরিস্টরা পাসপোর্ট গে’রোয়! ফটোকপি না থাকলে ? যে কাজে দেশে ফেরার দরজা খুলে যাবে

[ad_1]

বাংলাদেশীরা ভারতে পা দিয়ে এভাবেই বড় সমস্যায় ফেঁসে যান। কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেছেন? দেরী না করে প্রথমেই যে কাজটা করবেন সেটা জেনে নিন। ফিরতে হলে কতগুলো নিয়ম মানতে হবে। কত টাকা লাগবে? পাসপোর্টের ফটোকপি থাকলে এক রকম, না থাকলে আরেক রকম। এর‌ সঙ্গে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে? গোঁদের উপর বিষফোঁড়া। বাংলাদেশে ফিরে গেলেই সমস্যা শেষ? ভুল ভাবছেন!

বাংলাদেশ টু ভারত। কেউ ঘুরতে আসছেন, কেউ চিকিৎসা করাতে কলকাতায়। পাসপোর্ট হারিয়ে দিশেহারা? ভাবছেন ফটোকপি থাকলে কোনো সমস্যা হবে না? সেটা দিয়েই ফিরে যেতে পারবেন বাংলাদেশে? কতটা ভুল আপনি? শুনুন। দিনে দিনে বাংলাদেশী মেডিকেল ট্যুরিস্ট এর সংখ্যা বাড়ছে তাদের জন্য একটা বড় এবং কমন সমস্যা পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলা। কারণ বিদেশীদের বড় পরিচয় পাসপোর্ট এখন কিছু সংখ্যক মানুষ জেনেছেন, পাসপোর্ট হারালে সঙ্গে সঙ্গেই যোগাযোগ করতে হবে বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে। কিন্তু সেইসঙ্গে অবশ্যই কয়েকটি নিয়ম মানতে হবে। কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের ভিসা বিভাগ বলছে, যদি কেউ পাসপোর্ট হারান তাহলে সঙ্গে সঙ্গে দেরী না করে নিকটবর্তী থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি মানে GD করতে হবে। তারপরে ওই GD কপি নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে। কী কী সঙ্গে রাখবেন? পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য একটা আবেদনপত্রের সঙ্গে নির্ধারিত ফি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, পাসপোর্টের ফটোকপি আর GD কপি জমা দিতে হবে।

একটা ইমার্জেন্সি কাজে এসে পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলা যেমন বড় সমস্যা, তেমন সেটা পেতে টাকা খরচ করা আরও বড় সমস্যা। তাই কত টাকা লাগবে সেটা জানা খুব ইম্পরট্যান্ট। জেনে নিন জরুরিভিত্তিতে পাসপোর্ট পেতে গেলে আপনাকে জমা দিতে হবে ২ হাজার টাকা। তবে, দিনকয়েক সময় নিয়ে পাসপোর্ট পেতে চাইলে সেক্ষেত্রে লাগবে ১ হাজার টাকা। যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তাকে একটি ট্রাভেল পারমিট দেওয়া হয়। সেটা নিয়ে নিজেদের দেশে ফিরতে পারবেন বাংলাদেশীরা। না, এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশে ফিরে নতুন করে সেখানে পাসপোর্ট করতে হবে তাঁদের। এ তো গেল ফটোকপি থাকার ব্যাপার, কিন্তু ফটোকপি না থাকলে কী করবেন? পাসপোর্টের ফটোকপি বা কোনও তথ্য না থাকে, তাহলে যে পদ্ধতি বললাম তার সঙ্গে মানতে হবে আরও কিছু নিয়ম।

এক্ষেত্রে তাকে দূতাবাসে জমা দিতে হবে ইমিগ্রেশন সার্টিফিকেট। কীভাবে এবং কোন পথে তিনি এসেছেন ভারতে তার প্রমাণ দিতে হবে। যদি কেউ সড়কপথে আসেন তাহলে তাঁকে পেট্রাপোলের ইমিগ্রেশন অফিসে গিয়ে সব জানাতে হবে। সেখান থেকে পাসপোর্ট নম্বর সহ একটি সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে দূতাবাসে। তারপরেই দেশে ফেরার জন্য ট্র্যাভেল পারমিট পাবেন। আর পাসপোর্ট হারানোর সঙ্গে একটি বড় সমস্যা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া। যদিও ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ঘটনা কম হয়। তবে এরকম হলে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতার রবীন্দ্রসদন সংলগ্ন ফরেন রেজিস্ট্রেশন অফিসে। সেখানে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে আবেদন করার সঙ্গে জরিমানা দিতে হয়। মাথায় রাখবেন ভারতে কেন, দেশের বাইরে কোথাও গেলে সব সময় পাসপোর্ট সহ প্রয়োজনীয় কাগজ ফটোকপি করে রাখা উচিত। সেই সঙ্গে যাবতীয় নথি যাতে হারিয়ে না যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলেই এই উটকো ঝামেলা এড়ানো সম্ভব।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here