Home বিদেশ বাংলাদেশের জনগণ ভোট কেন্দ্রে ভোট দেবেন কীভাবে? হাসিনা সরকারের গদি কি টিকবে?

বাংলাদেশের জনগণ ভোট কেন্দ্রে ভোট দেবেন কীভাবে? হাসিনা সরকারের গদি কি টিকবে?

বাংলাদেশের জনগণ ভোট কেন্দ্রে ভোট দেবেন কীভাবে? হাসিনা সরকারের গদি কি টিকবে?

[ad_1]

সামনেই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন। টানটান উত্তেজনা। শেখ হাসিনার গদি থাকবে নাকি থাকবে না? তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। কিন্তু উত্তর দেবে বাংলাদেশের জনগণ। এত ভাইটাল একটা সিদ্ধান্ত কীভাবে নেবেন তারা? ভোট হবে কোন পদ্ধতিতে? ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ঠিক কি কি করতে হবে? পছন্দের প্রার্থী বাছবেন কীভাবে? বাংলাদেশে ভোটগ্রহণে চাই হাজারো জিনিস।

নির্বাচন নিয়ে আপানার নিশ্চয়ই কৌতুহল রয়েছে। সাধারণ জনগণ ভোট দিয়ে বেছে নেবেন তাদের পছন্দের সংসদ সদস্যকে। দেশটার সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলা রয়েছে, কোন নাগরিকের বয়স ২৫ বছর হলে তিনি সংসদ সদস্য হতে পারেন। তবে রয়েছে কিছু শর্ত। আদালত যদি ওই ব্যক্তিকে অপ্রকৃতিস্থ বলে ঘোষণা করে, দেউলিয়া হয়ে যান, কোন বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা বিদেশী রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করেন, তাহলে তিনি সংসদ পদের যোগ্য নন। এছাড়াও কোন ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে, কমপক্ষে দুই বছর কারাদণ্ডের পর পাঁচ বছর না হলে তিনি সংসদ সদস্য হতে পারবেন না। যদিও শিক্ষাগত যোগ্যতার কড়াকড়ি বিধান বা শর্ত নেই।

নির্বাচন কিভাবে হবে ?

যদি ব্যালটে হয়, সেক্ষেত্রে ভোটারকে প্রথমে যেতে হবে গোপন বুথে। তারপর ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রতীকে সিল দেবেন। সেটি ফেলতে হবে স্বচ্ছ ব্যালেট বক্সে। তিনি যে ভোট দিয়েছেন তা চিহ্নিত করতে আঙুলে দেওয়া হবে কালির দাগ। আপাতদৃষ্টিতে এই কয়েকটা জিনিস লাগলেও ব্যালটে ভোট নিতে দরকার প্রচুর জিনিস। প্রথম আলো রিপোর্ট বলছে, ব্যালেট ভোটে প্রায় ৩৩ ধরনের জিনিস দরকার হয়। রয়েছে সুই, সুতো, মোমবাতি, দেশলাই থেকে নানান জিনিস। এছাড়াও থাকবে বিশেষ খামসহ ১৭ ধরনের প্যাকেট।

প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে একটি অতিরিক্ত স্বচ্ছ ব্যালট বক্স থাকবে। হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন ব্যবহার হবে প্রায় তিন লক্ষের বেশি ব্যালট বক্স। এক একটি ভোট কেন্দ্রে যতসংখ্যক ভোটার থাকবেন, তত সংখ্যাকে ব্যালট পেপার দেওয়া হবে। প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্র থাকবে ছবিসহ ভোটার তালিকার দুটো কপি আর তিন ধরনের সিল। রাবারের সিলট ব্যবহার করা হবে অফিসিয়াল সিল হিসেবে। দ্বিতীয়ত মার্কিং সিল দিয়ে ভোটাররা ব্যালেট পেপারে তাদের পছন্দের প্রতীকে ভোট দেবেন। আরেকটি থাকবে পিতলের অর্থাৎ ব্রাশ সিল। যা ব্যবহার করা হবে সিলগালা লাগানোর জন্য। পাশাপাশি রাবারের সিলের জন্য থাকবে একটি স্ট্যাম্প প্যাড এবং ২০০ গ্রাম প্যাকেটের গালা। গালা লাগানোর জন্য থাকবে মোমবাতি এবং দেশলাই। ভোটের হিসাবের জন্য একটি করে ক্যালকুলেটর থাকতে পারে। যদিও এই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত নয়। এছাড়া টুকিটাকি জিনিসের মধ্যে রয়েছে স্ট্যাপলার, স্ট্যাপলারের পিন, কলম, কার্বন, কাগজ, ছুরি, গ্লু প্রভৃতি।

এই যে এত আয়োজন, কবে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন? চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে কিংবা ২০২৪ এর জানুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচন হবে ৩০০ টি আসনে প্রায় ৪২ হাজার ৩৮০ টি ভোট কেন্দ্রে। ভোট কক্ষের সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষের বেশি। সবকটিতেই ভোট নেওয়া হবে কাগজের ব্যালটে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরেই হতে পারে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। যদিও এই নির্বাচনটা কোন পদ্ধতিতে হবে সেই বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here