Home বিদেশ বাংলাদেশের সেনা হওয়া কতটা কঠিন? গ্যাগিং প্রশিক্ষণে সহ্য করতে হয় মৃত্যু যন্ত্রণা!

বাংলাদেশের সেনা হওয়া কতটা কঠিন? গ্যাগিং প্রশিক্ষণে সহ্য করতে হয় মৃত্যু যন্ত্রণা!

বাংলাদেশের সেনা হওয়া কতটা কঠিন? গ্যাগিং প্রশিক্ষণে সহ্য করতে হয় মৃত্যু যন্ত্রণা!

[ad_1]

বাংলাদেশকে প্রাণ দিয়ে আগলে রেখেছে বীর সৈনিকের দল। কড়া নজর শত্রুদের উপর। বাংলাদেশের সৈনিক হওয়া অত সোজা নয়। ত্যাগ করতে হয় প্রাণের মায়া। জীবন বাজি রেখে চলে প্রশিক্ষণ। শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে। ট্রেনিং যেন মৃত্যু যন্ত্রণার সমান। ঠিক কোন কোন ট্রেনিং নিতে হয়? যতই জানবেন ততই আশ্চর্য হবেন। এই কাজ সাধারণ মানুষের পক্ষে করা অসম্ভব।

প্রথম থেকেই চলে ধৈর্য আর মানসিক শক্তির পরীক্ষা। ভুল হলেই পেতে হয় কঠিন শাস্তি। সেনাবাহিনীতে সুযোগ পেতে কয়েক ধাপের লিখিত পরীক্ষা থেকে শুরু করে শারীরিক পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। বিবেচনা করা হয় নখের সমস্যা, নাকের সমস্যা, চোখের সমস্যা, বর্ণান্ধতা থেকে শুরু করে সবকিছু। চোখে ঘুমঘুম ভাব থাকলেও বাতিল হয়ে যেতে পারেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্রেনিংয়ের মূল মন্ত্র শৃঙ্খলা।

প্রথম দিনেই আর্মির ছাটে চুল কেটে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দিন থেকে চলে আসল পরীক্ষা। প্রায় এক বছরের ট্রেনিংয়ে থাকে প্রচুর কার্যক্রম। প্রত্যেকটা নিয়ম আলাদা। ট্রেনিং এর পর সেই যুবক হয়ে যান বাংলাদেশের আদর্শ দেশপ্রেমিক, গর্বিত সৈনিক। ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রত্যেকটা দিন শুরু হয় প্রায় অন্ধকার থাকতে। ভোর চারটে নাগাদ ঘুম থেকে উঠে পিটি করতে হয়। মাঝখানে স্নান খাওয়ার জন্য দেওয়া হয় মাত্র এক ঘন্টা। সারাদিন ধরে চলে নানান কসরত। রাতে চলে প্রচুর পড়াশোনা।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে এমন কিছু ট্রেনিং আছে যা জানলে অবাক হতে হয়। সৈনিকদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় ঘন জঙ্গলে। ৩ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত না খেয়ে থাকতে হয়। বন্য পশু আর বিষাক্ত পোকামাকড় থেকে বাঁচতে রাত কাটাতে হয় গাছের ডালে। এই সময় জংলি খাবারই ভরসা। এছাড়াও আছে ওয়াটার ট্রেনিং। ড্রেনের নোংরা জল বিষাক্ত জল থেকে শুরু করে বরফের মতো ঠান্ডা জলে নামিয়ে দেওয়া হয়।কখনো বা হাত পা বেঁধে ফেলে দেওয়া হয় জলে। ততটুকুই নিঃশ্বাস নিতে দেওয়া হয়, যতটুকু দিলে প্রাণ বাঁচবে। এছাড়াও কখনো মাথা নিচু করে একটা দড়ির ভরসায় দুই থেকে পাঁচ তলা উঁচু থেকে লাফিয়ে পড়তে হয়। এই সাহসিক কঠোর পদ্ধতি মূলত সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনের জন্য। এই ট্রেনিং পদ্ধতি এতটাই কঠিন যে হৃদকম্প অস্বাভাবিক নয়। এরপর আছে এয়ার জাম্প। হাজার হাজার মিটার উচ্চতায় গিয়ে প্যারা কমান্ডোদের উপর থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। যদি সঠিক সময়ে প্যারাসুট না খোলে কিংবা একটু ভুল হয়ে যায়, তাহলে মৃত্যু অনিবার্য।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কুখ্যাত ট্রেনিং গ্যাগিং। এর নামে কেঁদে ফেলেন বহু সেনা সদস্য। শক্ত দড়ি দিয়ে হাত-পা পিঠের পিছন দিকে বেঁধে ফেলা হয়। মুখে বেঁধে দেওয়া হয় রুমাল। যাতে কেউ চিৎকার করতে না পারেন । তারপর পিছন দিক দিয়ে দড়ি গুলো টেনে ধরা হয়। প্রচণ্ড চাপ পড়ে মেরুদণ্ড আর গলার উপর। শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা। এই যন্ত্রণা মৃত্যু যন্ত্রণার থেকে কোন অংশে কম নয়। শারীরিক এবং মনের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই ট্রেনিং। যাতে শত্রুর শত অত্যাচারেও নিজেদের দেশের তথ্য ফাঁস না করতে পারে। যখন প্রায় প্রাণ বেরিয়ে আসতে চলেছে তখনই মুখ থেকে রুমাল আর দড়ি খোলা হয়।

দেশের সার্বভৌম রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মূল মেরুদন্ড। দেশের যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে সংকটে, তারা আগে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সবাই যেখানে ব্যর্থ সেখানে জয়ী সেনারা। মানুষ তো সবাই হয়, কিন্তু যোদ্ধা কজন হয় বলুন তো?

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here