[ad_1]
রেশন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে তাঁর মন্ত্রিপদ খোয়া গেল না। আজ, বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটাই সবচেয়ে বড় খবর। তবে এই খবর আগাম দিয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। বন দফতর এখনও তাঁর কাছেই থাকল। সুতরাং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখনও মন্ত্রী রইলেন। তাঁকে দফতর বিহীন মন্ত্রী করেও রাখতে চাইলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত মন্ত্রিসভায় তাঁর মর্যাদা অটুটই থাকল। বারবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজেকে নির্দোষ বলেছেন। তিনি যে ক্লিয়ার কাট সেটা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তাই তাঁর পাশেই দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হেফাজতে আছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর এই গ্রেফতারের ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। আবার জ্যোতিপ্রিয় নিজেই বলেছেন, সবটাই ষড়যন্ত্র। হাত রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। আর আজ, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বালুকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তোমরা উত্তর ২৪ পরগনার সংগঠনটা দেখো।’ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে যাঁরা মন্ত্রী রয়েছেন তাঁদেরকে এই কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে আজ, বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন ঝাড়গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা। নবান্ন সূত্রে খবর, মন্ত্রীর সই প্রয়োজন হলে বীরাবাহাই সেটা দেখে নিতে পারবেন। সরকারিভাবে সেটাই নিয়ম। তারপর তো মুখ্যমন্ত্রী আছেনই। আবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, জেলায় সাংগঠনিক যে দায়িত্ব ছিল জ্যোতিপ্রিয়র উপর সেটা যেন তিনিই আপাতত দেখে দেন। সুতরাং তাঁর দায়িত্ব বাড়ল বলে সূত্রের খবর। দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে উত্তর ২৪ পরগনার সংগঠনকে বাড়তি সময় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আরজি কর হাসপাতাল থেকে বিচারাধীন বন্দি পালাল, নজরদারিতে গাফিলতির অভিযোগ
আবার নবান্ন সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে কোনএ বড় দফতরের দায়িত্ব ছিল না। তাই অসুবিধা হবে না। বন দফতরে কাজের চাপ অন্যান্য দফতরের থেকে কম। যা বীরবাহা হাঁসদা সামলে নিতে পারবেন। ব্রাত্য বসু,পার্থ ভৌমিক, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, রথীন ঘোষদের বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কালীপুজোর সময় তোমরা জেলাতেই থেকো। এলাকাকে গুরত্ব দিতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনায় অনেক কালীপুজো হয়। তোমরা দেখে নিও। সব কিছুকেই ওরা গেরুয়া রং করে দিচ্ছে। মাঠ, হাসপাতাল,অফিস সব কিছুকেই ওরা গেরুয়া রং করে দিচ্ছে।’