[ad_1]
রামমন্দির বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে অযোধ্যার সেই বিরাট সৌধের কথা। সেই রামমন্দির কবে উদ্বোধন হবে? তা নিয়ে বিস্তর গুঞ্জন রয়েছে। আসলে কেউ না মুখে আনলেও বিষয়টি যে হিন্দু রাষ্ট্রের প্রতীক হতে চলেছে এটা মনে মনে অনেকেই বুঝতে পারছেন। তবে এবার অযোধ্যার ধাঁচে এই বাংলাতেও তৈরি হচ্ছে রামমন্দির। তবে সেটা অস্থায়ী। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে তা গড়ে উঠছে। আর পুজো মিটে গেলেই তা খুলে ফেলা হবে। আসলে এবার দুর্গাপুজোয় রামমন্দিরের আদলে তৈরি করা হচ্ছে এই মণ্ডপ। শহর ও জেলাতে এমন মণ্ডপ দেখা যাবে বলেই খবর।
এদিকে খোদ কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজোতে তৈরি হচ্ছে রামমন্দিরের আদলে মণ্ডপ। এই দুর্গাপুজোটি বিজেপির কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজো বলেই পরিচিত। এই দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে আমন্ত্রণ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। যিনি বাংলা দখল করার হুঙ্কার ছেড়ে জোর ধাক্কা খেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সেখানে সজলের দুর্গাপুজোতে এবার রামমন্দির। আর সেখানে আসবেন না শাহ! তবে আসার কথা থাকলেও এখনও তিনি তাতে সিলমোহর দেননি।
অন্যদিকে সম্প্রতি সংসদে বাদল অধিবেশন চলার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বাংলায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট বিজেপির রাজ্য সভাপতির নিজের শহর। এখানের নিউটাউন ক্লাব ও পল্লি পাঠাগারের দুর্গাপুজোতেও রামমন্দিরের আদলে মণ্ডপ করা হচ্ছে বলে খবর। এই দুর্গাপুজোতে সুকান্ত মজুমদারের অবদান যথেষ্ট রয়েছে। তাই দুর্গাপুজোতে আমন্ত্রণ করেছেন অমিত শাহকে। এমনকী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও আসতে পারেন। কিন্তু অমিত শাহের সূচিতে এখনও তা জায়গা পায়নি বলেই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কৈফিয়ত তলব করল ইউজিসি, জবাব ১৫ দিনের মধ্যে
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই এই আবহে বাংলার দুর্গাপুজোতে অমিত শাহ আসতে পারেন বলে মনে করছেন রাজ্য বিজেপির একাংশ নেতারা। তবে প্রকাশ্যে তাঁরা কিছু বলেননি। দুর্গাপুজো একটা জনসংযোগ করার হাতিয়ার। তাই লোকসভা নির্বাচন এবং জনসংযোগ দুই কাজ একবারে সারতে আসতে পারেন অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই ইজেডসিসি অডিটোরিয়ামে রাজ্য বিজেপির দুর্গাপুজো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই এই নেতাদের দুর্গাপুজোকে এখন হাতিয়ার করা হচ্ছে। অমিত শাহ এই দুর্গাপুজোতে এলে অনেক কিছুর উত্তর পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে রামমন্দিরের আদলে। দুর্গাপুজোর বাজারে বাংলার সেই রামমন্দির কতটা গেরুয়া আবেগে শান দিতে পারবে সেটাই দেখার।