Home আপডেট বিজেপির রাজ্য সভাপতি–সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা, অপরাধ কী?‌

বিজেপির রাজ্য সভাপতি–সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা, অপরাধ কী?‌

বিজেপির রাজ্য সভাপতি–সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা, অপরাধ কী?‌

[ad_1]

একসপ্তাহ অতিক্রান্ত। এখনও পাকড়াও করা যায়নি সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানকে। এই নিয়ে সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। কারণ একসপ্তাহ আগে শুক্রবার ইডির অফিসার–সহ কেন্দ্রীয বাহিনীর জওয়ানরা মারধর খেয়েছিলেন শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়ে। সেই তদন্তের এখনও কিনারা হয়নি। দু’‌একজন গ্রেফতার হয়েছে মাত্র। মূল মাথা অধরাই। এই আবহে ন্যাজাট থানায় আন্দোলনের জেরে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার–সহ একাধিক নেতার নাম রয়েছে।

আজ, রবিবার এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির অন্দরে জোর আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ ১৪৪ ধারা ভেঙে আন্দোলনের জেরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে খবর। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, নেত্রী অর্চনা মজুমদার–সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে এফ‌আইআর দায়ের করা হয়েছে। আর যে ধারাগুলি সেখানে দেওয়া হয়েছে সেগুলি সবই জামিন অযোগ্য ধারা বলে বিজেপি সূত্রে খবর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। এখন বিজেপি নেতারা কি করেন সেটাই দেখার বিষয়। ইতিমধ্যেই বাড়ি থেকে গাঁজা উদ্ধার হওয়ায় গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা রূপা রায়ের স্বামী।

এদিকে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি নেতারা। সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় ইডির উপর হামলার পর একসপ্তাহ কেটে গিয়েছে। তারপরও খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের। এই নিয়ে পুলিশ তদন্ত করলেও বিজেপি নেতারা এবং রাজ্যপাল কড়া মন্তব্য করেছেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও সুর চড়ান। সেখানে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে মাত্র দু’‌জন। দফায় দফায় জেরা চলছে। আর সিসিটিভি ফুটেজে আরও একাধিক শাহজাহান অনুগামীদের দেখা গিয়েছে। তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হয়নি?‌ প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি নেতারা। এখনও কেন খোঁজ মিলল না শাহজাহানের?‌ পুলিশ প্রশাসন কতদূর তদন্ত করেছে? প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন:‌ গঙ্গাসাগর মেলা মিলিয়ে দিল স্বামী–স্ত্রীকে, ১৩ বছর আগে সন্তান–সহ হারিয়েছিল পরিবার

অন্যদিকে এই ঘটনার পরই ন্যাজাট থানা অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি নেতারা। আর তাই বিজেপির কর্মসূচি শুরুর মধ্যেই থানা থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার আগে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল পুলিশ। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। সেখানে দেওয়া ছিল গার্ডরেল। আর আনা হয়েছিল অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। কিন্তু সেসব ভেঙে দিয়েই এগিয়ে যায় বিজেপি নেতারা। বিজেপি কর্মীদের তখন কার্যত রণংদেহী মেজাজে দেখা গিয়েছিল। পুলিশের গার্ডরেল ভেঙে দিয়ে হুঙ্কার ছাড়েন বিজেপি নেতা থেকে কর্মীরা। আর তাতেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ন্যাজাট থানার সামনে।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here