Home আপডেট বিধানসভার স্বাধিকারকে ঢাল করে বিচারব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছেন মমতা: বিকাশরঞ্জন

বিধানসভার স্বাধিকারকে ঢাল করে বিচারব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছেন মমতা: বিকাশরঞ্জন

বিধানসভার স্বাধিকারকে ঢাল করে বিচারব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছেন মমতা: বিকাশরঞ্জন

বিধানসভার স্বাধিকারকে ঢাল করে ভারতের বিচারব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অযোগ্যেদের চাকরি থেকে বহিষ্কার নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, দুর্নীতির টাকায় যিনি ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁর কাছ থেকে সততা প্রত্যাশা করি না।

এদিন বিকাশবাবু বলেন, ‘টাকা তুলে, নিয়ম নীতি ভেঙে নিজের দলের লোকেদের মুখ্যমন্ত্রী যে চাকরি দিয়েছেন সেগুলো বজায় থাকুক। আজ মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় সেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে মুখ্যমন্ত্রীর বড় বুকে ব্যাথা লাগবে। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন দুর্নীতিমূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। সারদা, রোজভ্যালির মতো চিটফান্ডের টাকায় তাঁর উত্থান। তাই তিনি মনে করেন দুর্নীতিটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ওর কাছ থেকে সততা আশা করি না।

তিনি বলেন, ‘আমরা বামপন্থীরা এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়ছি। আমরা রাস্তায় নেমে ইট পাটকেল ছুড়িনি। আইনি লড়াইয়ে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে সমস্ত নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে হয়েছে। সেই লড়াই যদি মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক মনে হয় তাহলে তো বলব এমন লড়াই পৃথিবীর সব মানুষের করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী এতদিনে টের পেয়েছেন যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইটা একটা রাজনৈতিক সংগ্রাম’।

বিকাশবাবুর বিস্ফোরক দাবি, ‘আইনি লড়াইয়ে ব্যর্থ হয়ে বিধানসভার স্বাধীকারকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে আদালতকে প্রকারান্তরে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বিভানসভার ভিতরে দাঁড়িয়ে যা বললেন তা ভারতের বিচারব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার শামিল’।

এদিন বিধানসভায় রাজ্যপালের জবাবি ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজনীতি করতে গিয়ে শিক্ষকদের চাকরি খেয়ে নিচ্ছে সিপিএম। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। রাম-বাম-শ্যাম এক হয়ে গেছে’।

মমতার পালটা চ্যালেঞ্জ, ‘ছেলেমেয়েদের চাকরি দিতে গেলেই কোর্টে চলে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা চাকরি দিতে চাই। আইন মেনেই আমরা চকরি দেব। কেউ চাকরি দেওয়া থেকে আমাদের আটকাতে পারবে না’।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here