Home আপডেট বিমানের টিকিটে বিপুল ছাড়ের টোপ দিয়ে প্রতারণা, পা দিতেই ২৬ লক্ষ টাকা গায়েব

বিমানের টিকিটে বিপুল ছাড়ের টোপ দিয়ে প্রতারণা, পা দিতেই ২৬ লক্ষ টাকা গায়েব

বিমানের টিকিটে বিপুল ছাড়ের টোপ দিয়ে প্রতারণা, পা দিতেই ২৬ লক্ষ টাকা গায়েব

[ad_1]

বিমানের টিকিটে বিপুল পরিমাণ ছাড় মিললে মনটা উড়ে যেতে ইচ্ছে করে। উড়ানের সফর যেন আনন্দে মাতিয়ে তোলে। এমনই বিপুল পরিমাণ ছাড়ের টোপ দিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল একটি ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে। ভ্রমণে অধিক ছাড় কে না চায়। আর সেই আবেগকে কাজে লাগিয়ে বিপুল টাকার ছাড়ের টোপ দিয়ে ২৬ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ির একটি ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে। বিমানের টিকিট কেটে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে এটা বুঝতে পেরেই মধ্যমগ্রাম থানায় ওই ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে দায়ের করেন রঘুনাথ দাস নামে এক পর্যটক। পুলিশ এখন তদন্ত করছে।

এদিকে মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা রঘুনাথ দাস একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তাই সারা বছর কাজের ফাঁকে যদি একটু কোথাও থেকে ঘুরে আসা যায় তাই সহকর্মীদের সঙ্গে পরিকল্পনা করেছিলেন। ওই সংস্থার সহকর্মী এবং পরিচিত মিলিয়ে রঘুনাথ বাবুরা মোট ৭০জন হয়েছিলেন। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে তাঁরা ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের পরিকল্পনা করে ফেলেন। তারপরই তাঁরা অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটতে যান। তখন টিকিট কাটার সময় ইন্টারনেটে একটি বিজ্ঞাপন তাঁদের নজরে আসে। সেটা হল, শিলিগুড়ির একটি ট্রাভেল এজেন্সি আছে। যার মাধ্যমে টিকিট কাটলে প্রত্যেকটি টিকিটে প্রায় চার হাজার টাকা ছাড় মিলবে। এটাই ছিল সেই টোপ।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌বাংলা দিবস’‌ পালন করবে রাজ্য সরকার, নির্বাচন কমিশনের থেকে অনুমতি নিয়েছে নবান্ন

অন্যদিকে এই বিষয়টি দেখে আর কালবিলম্ব করতে চাননি তাঁরা। তড়িঘড়ি বিমানের টিকিট বিপুল ছাড় পেতে প্রলোভনে পা দেন। এমনকী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৮ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট করে তাঁরা। পরে আরও ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নগদ দেন। কিন্তু ঘুরতে যাওয়ার দিন এগিয়ে আসতেই আসল চেহারা বেরিয়ে পড়ে ট্রাভেল এজেন্সির। তাঁদের টিকিট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে তাঁদের টিকিটের কয়েকটি পিএনআর নম্বর দেওয়া হয়। যেগুলি জাল বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা ভ্রমণের দিন পিছিয়ে দেন এবং ফের টিকিট কাটেন। পরে অভিযুক্ত ট্রাভেল সংস্থাকে শিক্ষা দিতে চান পর্যটকরা।

তাই দু’দিন আগে মধ্যমগ্রাম থানায় গোটা ঘটনার কথা লিখে অভিযোগ দায়ের করেন পর্যটক রঘুনাথ দাস। তাঁর বক্তব্য, ‘ইন্দোনেশিয়ায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু টাকা বা টিকিট কিছুই দেয়নি তারা। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ আমাদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।’ পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ভ্রমণ সংস্থাকে পাকড়াও করার ব্যবস্থা করছে। তারপর টাকা উদ্ধার হলে তা ফেরত পাবেন প্রতারিত পর্যটকরা।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here