Home আপডেট বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে চিঠি রাষ্ট্রপতির কাছে, শতাধিক শিক্ষাবিদের বিশেষ আবেদন

বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে চিঠি রাষ্ট্রপতির কাছে, শতাধিক শিক্ষাবিদের বিশেষ আবেদন

বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে চিঠি রাষ্ট্রপতির কাছে, শতাধিক শিক্ষাবিদের বিশেষ আবেদন

[ad_1]

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কিছুতেই বিতর্কের মধ্যে থেকে বেরতে পারছে না। আর সব ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। কখনও অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, কখনও রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা সড়ক দাবি করে, কখনও পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করে, আবার কখনও বিতর্কিত মন্তব্য করে বারবার সমালোচিত হয়েছেন উপাচার্য। এবার ২৫০ জন শিক্ষাবিদ চিঠি লিখলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। একজন ছাত্রকে সাসপেন্ড করার জেরে এই চিঠি লেখা হয়েছে। আর এই সাসপেন্ড করার কারিগর সেই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

এদিকে ওই ছাত্রটির অপরাধ বলতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে সমর্থন করা। জমিজট নিয়ে বিশ্বভারতীর সঙ্গে অমর্ত্য সেনের দ্বৈরথ চলছিল। যা এখনও অব্যাহত। সেখানে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পক্ষে কিছু কথা লিখেছিলেন ছাত্রটি। তাও সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তারপরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। এবার এটা চলতে থাকলে ছাত্রটির সেমিস্টার পরীক্ষা দেওয়া হবে না। সেক্ষেত্রে একটা গোটা বছরের ক্ষতি হয়ে যাবে। এটা একজন উপাচার্য হয়ে কেমন করে করছেন?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে এই সাসপেনশনের প্রতিবাদেই ২৫০ জনের বেশি শিক্ষাবিদ সরাসরি চিঠি লিখলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। সেখানে পরিষ্কার লেখা হয়েছে ছাত্রটির নাম সোমনাথ সাউ। এই ছাত্রটি জমিজট নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের দ্বৈরথ চলাকালীন সমর্থন করেন অমর্ত্যকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পক্ষে কিছু সওয়াল করেন ছাত্রটি। আর তাতেই বেজায় চোটে গিয়ে সাসপেন্ড করা হয় ছাত্রটিকে। ছাত্রটির অপরাধ মারাত্মক না হওয়ায় রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। যাতে ছাত্রটির বছর নষ্ট না হয়।

আরও পড়ুন:‌ আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ, ইস্তফার হুঁশিয়ারি অ্যান্টি ব়্যাগিং স্কোয়াডের চেয়ারম্যানের

এছাড়া ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি নিজেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িয়ে। তাই আবেদন করা হচ্ছে, ছাত্র সোমনাথ সাউয়ের কেরিয়ার বাঁচান রাষ্ট্রপতি। এই ছাত্র দলিত এবং স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের। তাঁকে আগাম কোনও নোটিশ ছাড়াই সাসপেন্ড করা হয়েছে। এমনকী বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনও চার্জশিটও দেয়নি। একটা সেমিস্টার ক্ষতি হয়ে যাওয়ার অর্থ একটা বছরের ক্ষতি হয়ে যাওয়া। তাই এটাকে ঠেকাতেই আবেদন করা হচ্ছে আপনার কাছে। গোটা চিঠিতে কোথাও উপাচার্যের নাম উল্লেখ করা না হলেও পরিস্থিতি যা তুলে ধরা হয়েছে সেটা বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই যায়।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here