[ad_1]
বীরভূমের কাঁকড়তলায় তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় ওসিকে ক্লোজ করল জেলা পুলিশ। বুধবার রাতে অজয় নদের পাড়ে শেখ মতিন নামে ওই গরুপাচারকারীকে পাথর দিয়ে মুখ থেঁতলে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এর পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। যার জেরে ওসিকে ক্লোজ করার সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
মৃতের পরিজনরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে গ্রামেরই কয়েকজন মতিনকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর অজয় নদের বড়কোলা ঘাটে চায়ের দোকানে তাঁকে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে। বৃহস্পতিবার সকালে দেহ আবিষ্কার হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনায় শেখ শাকির ও হাসু শেখ নামে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে মূল অভিযুক্ত মুজিবুল, রবিউল ও রাজিবুলকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মৃতের পরিবারের দাবি, অভিযুক্তদের সঙ্গে মতিনের দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সম্ভবত, গরু পাচারের টাকার বখরা নিয়ে বিবাদ চলছিল ২ পক্ষের। তার জেরেই মতিনকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিজনদের।
ওদিকে এই ঘটনায় কাঁকড়তলা থানার ওসি শেখ সামিমকে ক্লোজ করেছেন জেলার পুলিশ সুপার। তাঁকে সিউড়িতে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় কাঁকড়তলা থানার নতুন ওসি হয়েছেন সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘটনার জেরে শুক্রবার সকালেও চাপা উত্তেজনা ছিল বড়কোলা গ্রামে। গোটা গ্রাম তখনও পুলিশে ছয়লাপ। এই ঘটনায় বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। পালটা বিজেপির দাবি, টাকার বখরা নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন। এর মধ্যে বিজেপি কোথাও নেই।