Home আপডেট ‌‘‌ব্যর্থ সভার পর বিজেপি গণসংগঠন সিবিআইকে নামিয়েছে’‌, জাফিকুল নিয়ে স্পষ্ট বার্তা কুণালের

‌‘‌ব্যর্থ সভার পর বিজেপি গণসংগঠন সিবিআইকে নামিয়েছে’‌, জাফিকুল নিয়ে স্পষ্ট বার্তা কুণালের

‌‘‌ব্যর্থ সভার পর বিজেপি গণসংগঠন সিবিআইকে নামিয়েছে’‌, জাফিকুল নিয়ে স্পষ্ট বার্তা কুণালের

[ad_1]

আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ধরপাকড় শুরু করেছে সিবিআই। তৃণমূল কংগ্রেসের দুই কাউন্সিলরের পর মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুলের বাড়ি থেকে লাখ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। আর এই জাফিকুলের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ স্পষ্ট জানান, বিধায়কের বাড়ি থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা যদি অবৈধ হয়, তাহলে দলের নীতি ‘জিরো টলারেন্স’। যা আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন।

এদিকে বিধায়ক জাফিকুলের বাড়িতে তল্লাশি করে সিবিআই। বিধায়ক এখন বিধানসভা অধিবেশনের জন্য কলকাতায় আছেন। সিবিআই অফিসাররা জাফিকুলের বাড়িতে ঢুকতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলে। আর দুপুরে নিয়ে আসা হয় টাকা গোনার যন্ত্র। বিধায়কের বাড়ির শৌচালয় থেকে সাত লক্ষ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। আর বিধায়কের বেডরুম থেকেও কয়েক লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। বিধায়কের পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি কিছু সম্পত্তি বিক্রি করা হয়েছিল। সেই টাকাই বাড়িতে ছিল।

অন্যদিকে বিরোধীরা এই নিয়ে হাওয়া গরম করছে। বিধানসভায় তৃণমূলের সবাই চোর বলে বিজেপি বিধায়করা সোচ্চার হয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘নানা সূত্র থেকে বলা হচ্ছে, জাফিকুলের বাড়ি থেকে টাকা পাওয়া গিয়েছে। সেই টাকা বৈধ না অবৈধ, সেটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনও আসেনি। যদি ব্যবসার টাকা হয়, তা হলে তার বৈধতা নিয়ে কার কী বলার থাকতে পারে? আর যদি অবৈধ হয়, তাহলে দলের অবস্থান আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন— জিরো টলারেন্স।’ এদিন রাজারহাটের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী এবং বেহালার কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে হাজির হয় সিবিআই।

আরও পড়ুন:‌ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী, কোন কারণে মোদীর হস্তক্ষেপ চাইলেন মমতা?

এই গোটা ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ধর্মতলায় বিজেপির সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। তার পরই আজ সিবিআইয়ের তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। সিবিআই বেরিয়ে যাওয়ার পর দেবরাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিচ্ছে। কারণ আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করি।’ কুণাল ঘোষের কথায়, ‘বুধবারের ব্যর্থ সভার পর যেভাবে বিজেপি তাদের গণসংগঠন সিবিআইকে নামিয়েছে, তাতে স্পষ্ট তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here