Home আপডেট ‘‌ব্রাত্যর উচিত অভিধান চর্চা করা’‌, কেন্দ্রের নাট্য ফতোয়া নিয়ে পাল্টা আক্রমণ সুকান্তর

‘‌ব্রাত্যর উচিত অভিধান চর্চা করা’‌, কেন্দ্রের নাট্য ফতোয়া নিয়ে পাল্টা আক্রমণ সুকান্তর

‘‌ব্রাত্যর উচিত অভিধান চর্চা করা’‌, কেন্দ্রের নাট্য ফতোয়া নিয়ে পাল্টা আক্রমণ সুকান্তর

[ad_1]

লোকসভার নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলার নাট্যদলগুলিকে কৌশলে নাটকের মাধ্যমে নিজের প্রচার করতে চাইছে মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত নাট্যদলগুলিকে একটি ছোট নাটক পাঠানো হয়েছে। যে নাটকটি আসলে কেন্দ্রের গুণগান গাওয়ার সামিল। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে নাটকটি তুলে ধরে গতকাল এমনই দাবি করেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, নাটকটি না করলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অনুদান বন্ধ হয়ে যাবে। এবার এই তথ্য সর্বৈব মিথ্যে বলে পাল্টা আজ, বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যা নিয়ে সরস্বতী পুজোর দিন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

এদিকে নিজের পোস্ট করা লেখায় সুকান্ত মজুমদার উল্লেখ করেছেন, ব্রাত্য বসু মিথ্যে তথ্য ছড়াচ্ছেন মানুষের মধ্যে। ভারত রং মহোৎসবের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। বিশ্বের কাছে এটা সবচেয়ে বড় উৎসব। তাই সমস্ত কলা সংস্থা, নাটকের দলকে জন ভারত রং যা ভারত রং মহোৎসবের অন্তর্গত তার ব্যানারে একটি প্রোডাকশন তৈরি করতে বলা হয়েছে। এখানে যাঁরা ইচ্ছুক গোষ্ঠী তাঁদেরকে এই কাজ করতে বলা হয়েছে। ভাষা দিবসে তা করে দেখাতে হবে। ইচ্ছুক গোষ্ঠীকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেটা জানাতে বলা হয়েছিল বলে নোটিশ পোস্ট করে দাবি করেছেন বালুরঘাটের সাংসদ।

অন্যদিকে হিন্দিতে লেখা নাটকের নাম ‘লে আও ওয়াপস সোনে কি চিড়িয়া’ অর্থাৎ সোনার পাখি ফিরিয়ে আনো। তিন পাতার এই নাটকটির কপি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসুর দাবি, ‘এই নাটকে অভিনয় সর্বত্র করতে হবে। অভিনয়টি না করলে কেন্দ্রের পাঠানো মোটা অনুদান এবং অর্থ বরাদ্দ করা বন্ধ হয়ে যাবে।’ ব্রাত্যের এই বক্তব্যই মিথ্যা বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনিও পাল্টা ওই চিঠি পোস্ট করেছেন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে। আর সেখানে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য কেন মিথ্যে?‌ সেটার উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুন:‌ ভাষা দিবসে পঞ্জাব সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, কেজরিওয়াল–মমতা বৈঠক হতে পারে

যদিও এই বিষয়ে নাট্যকার, অভিনেতা তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মনে করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের থিয়েটার দলগুলি যেহেতু মূলত বামপন্থী, সেকুলার, তাঁরা সবাই এই প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবেন। ঠ্যালার নাম বাবাজি, কাকে বলে দ্যাখ এবার।’ এই বক্তব্যেরই পাল্টা সুকান্ত মজুমদার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‌মিথ্যে তথ্যের বার্তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন ব্রাত্য বসু। আমাদের দেশে যে সংস্কৃতি আছে তার মানকে নিচে নামানো হচ্ছে এভাবে ভুল তথ্য ছড়িয়ে। ওঁর উচিত প্রথমে অভিধান চর্চা করা। তাহলেই বুঝতে পারবেন ইচ্ছুক গোষ্ঠী এবং সব গোষ্ঠীর মধ্যে পার্থক্য।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here