[ad_1]
ডেস্ক: শুক্রবার গভীর রাতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপালের প্রত্যন্ত অঞ্চল। এই ভূমিকম্পে অন্তত পক্ষে ১২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নেপালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন অন্তত ১৪০ জন আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপে অনেকেই আটকে আছেন। তাই মৃতের সংখ্যা বেশ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৪। এর প্রভাবে ৫০০ কিমি দূরের দিল্লিও কেঁপে উঠেছে। আতঙ্কে মানুষজন ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন।
ধ্বংসস্তূপে যাঁরা আটকে রয়েছেন তাঁদের উদ্ধার করার জন্য স্থানীয় মানুষজন নিজেরাই কাজে নেমে পড়েন। বহু বাড়ি হয় ভেঙে পড়েছে কিংবা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পের আঁচ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বহু মানুষ কোনো রকমে খোলা জায়গায় চলে আসেন।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিম রুকুম, জজরকোট প্রভৃতি এলাকা। এখনও পর্যন্ত পশ্চিম রুকুমে ৩৬ জন এবং জজরকোটে ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
পশ্চিম রুকুমের মুখ্য জেলা অফিসার হরিপ্রসাদ পন্থ সংবাদসংস্থা এএনআই-কে জানান, “স্থানীয় সময় ভোর ৫টা পর্যন্ত যে খবর জোগাড় করতে পেরেছি তাতে দেখা যাচ্ছে পশ্চিম রুকুমে এই ভূমিকম্পে অন্তত ৩৬ জন মারা গিয়েছেন। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।”
মর্মান্তিক এই ভূমিকম্পে গভীরভাবে ব্যথিত নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ‘প্রচণ্ড’। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ‘এক্স’-এ পোস্ট দিয়ে বলা হয়েছে, “শুক্রবার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে জজরকোটের রামিডান্ডায় ভূমিকম্পের ফলে মৃত্যু ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন সম্মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ‘প্রচণ্ড’ এবং অবিলম্বে উদ্ধারকাজ এবং আহতদের ত্রাণের ব্যবস্থা করতে তিনি ৩টি নিরাপত্তা সংস্থাকে একযোগে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।”
जाजरकोटको रामीडाँडा केन्द्रविन्दु भएर शुक्रबार राति ११ः४७ मा गएको भूकम्पबाट भएको मानवीय तथा भौतिक क्षतिप्रति सम्माननीय प्रधानमन्त्री पुष्पकमल दाहाल “प्रचण्ड”ले गहिरो दुख व्यक्त गर्दै घाइतेहरुको तत्काल उद्धार र राहतका लागि ३ वटै सुरक्षा निकायलाई परिचालित गर्नुभएको छ।
— PMO Nepal (@PM_nepal_) November 3, 2023
উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১৫ সালে এক ভয়ংকর ভূমিকম্পে নেপালের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। এর ফলে প্রায় ৯ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল, জখম হয়েছিলেন ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ। এর ফলে ৫ লক্ষেরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। প্রায় ৮ হাজার স্কুলবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে ১০ লক্ষেরও বেশি শিশু ক্লাসঘর থেকে বঞ্চিত হয়।