Home আপডেট ভাওয়াইয়া গান–বৈরাতি নাচ দিয়ে স্বাগত জানানো হয় রাহুল গান্ধীকে, মেনুতে কি থাকছে?‌

ভাওয়াইয়া গান–বৈরাতি নাচ দিয়ে স্বাগত জানানো হয় রাহুল গান্ধীকে, মেনুতে কি থাকছে?‌

ভাওয়াইয়া গান–বৈরাতি নাচ দিয়ে স্বাগত জানানো হয় রাহুল গান্ধীকে, মেনুতে কি থাকছে?‌

[ad_1]

সবে কোচবিহারে ঢুকেছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। আর তাঁকে স্বাগত জানাতে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে ভাওয়াইয়া গান, বৈরাতি নাচ আর বোরোলি মাছ। রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানাতে কোচবিহার এমনই নিজস্বতার উপর আস্থা দেখাল। ভিড় করেছেন কংগ্রেস কর্মীরা। সবাই হাতে হাত মেলাতে ব্যস্ত। আজ, বৃহস্পতিবার অসম থেকে বাংলার মাটিতে পা রেখেছেন রাহুল গান্ধী। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছে কংগ্রেস। আর তার পথ ধরেই ১৪ বছর পর আবার কোচবিহারের মাটিতে পা রাখলেন রাহুল গান্ধী।

এদিকে অসম–বাংলা সীমানায় মঞ্চ বেঁধে তাঁকে বরণ করা হয় বৈরাতি নৃত্যে। গাওয়া হয় ভাওয়াইয়া গান। স্থানীয় রাজবংশী শিল্পীরা দেখালেন নিজস্বতা। বক্সিরহাট সভামঞ্চে তাঁকে বরণ করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে অধীর বললেন, ‘যেখানেই রাহুল গান্ধী যাবেন, সেখানেই মানুষের ঢল নামবে।’ বক্সিরহাটেই রাহুলের হাতে পোড়া মাটির মা দুর্গার মূর্তি তুলে দেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তারপর সভা মঞ্চ থেকে রাহুল গান্ধী বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ‘‌আরএসএস–বিজেপি মিলে দেশজুড়ে হিংসা ছড়াচ্ছে। তার প্রতিবাদ করতেই হবে। বাংলার মানুষের কথা শুনতেই আমি এসেছি।’‌

অন্যদিকে বক্সিরহাট থেকে প্রায় দশ কিমি কোচবিহার শহরের দিকে এগোলেই জাতীয় সড়কের পাশে চামটা গ্রাম। সেখানে রাহুল গান্ধী ও তাঁর সঙ্গে আড়াইশো কংগ্রেস কর্মীর জন্য মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেনুতে থাকছে বোরোলি মাছ। ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাহুল গান্ধী জানান, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই এই জোট। বাংলার মানুষের কথা শুনতেই তাঁর রাজ্যে আসা। বিজেপি–আরএসএস যে হিংসার পরিবেশ তৈরি করেছে সেটার অবসান ঘটাতে হবে।

আরও পড়ুন:‌ দেবরাজ–বাপ্পাদিত্যকে সিবিআই তলব, দু’‌জন কাউন্সিলরই ছুটে গেলেন নিজাম প্যালেসে‌

এছাড়া এখান থেকে আবার জাতীয় সড়ক ধরে কোচবিহার শহরের দিকে রওনা হবেন রাহুল। মা ভবানী মোড় থেকে কোচবিহার শহর হয়ে খাগড়াবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিমি রাস্তা পদযাত্রা করার কথা তাঁর। বিকেলে তিনি যাবেন ঘোকসাডাঙার উনিশবিশা গ্রামে। এই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বাংলায় যে কংগ্রেস এই যাত্রা করবে সেটা তাঁকে জানানো হয়নি। জোটের ব্যাপারে প্রথম দিন যা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তা কংগ্রেস প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলায় একা লড়াই করা হবে। এখানে আজ সন্ধ্যায় বিশ্রাম নেবেন তিনি। ফালাকাটা পৌঁছে টাউন ক্লাবের মাঠে রাত কাটাবেন। ইতিমধ্যেই জেলা পার্টি অফিসে ভিড় করেছেন কোচবিহারের কংগ্রেস কর্মীরা। জোটের জট কেটে নিষ্পত্তি কি হবে?‌ প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে রাজার শহরে।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here