Home বিদেশ ভোগান্তির দিন শেষ, বাংলাদেশকে হাসপাতাল উপহার দিচ্ছে ভারত! খরচ কত?

ভোগান্তির দিন শেষ, বাংলাদেশকে হাসপাতাল উপহার দিচ্ছে ভারত! খরচ কত?

ভোগান্তির দিন শেষ, বাংলাদেশকে হাসপাতাল উপহার দিচ্ছে ভারত! খরচ কত?

[ad_1]

ভোগান্তির দিন শেষ, বাংলাদেশের জন্য দুর্দান্ত সুখবর। হাসপাতাল উপহার দেবে ভারত! চিকিৎসার জন্য আর কলকাতায় আসার দরকার নেই। বাংলাদেশেই তৈরি হবে অত্যাধুনিক হাসপাতাল। কম খরচে মিলবে পরিষেবা। ডিসান খরচ করবে হাজার কোটি টাকা। কোথায় তৈরি হবে এই হাসপাতাল ? ঠিক কোন কোন সুবিধা পেতে চলেছে বাংলাদেশের মানুষ?

প্রতিবছর বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ভারতে আসেন শুধুমাত্র চিকিৎসার জন্য। অনেকেই আসেন কলকাতায় আবার অনেকে যান হায়দ্রাবাদ কিংবা বেঙ্গালুরুতে। কলকাতাও বাংলাদেশের একদম কাছে। দুই জায়গার ভাষা, খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সংস্কৃতি অনেকটা এক। কিন্তু যাতায়াত, থাকা, খাবার খরচ পড়ে যায় অনেকটা। তার উপর রয়েছে সময় অপচয়। সেই একই চিকিৎসা সেবা বাংলাদেশে পাওয়া গেলে খরচও বাঁচবে, ভোগান্তিও কমবে। এবার সেই উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাতার ডিসান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডিসান বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছে। বিপরীত দিক থেকে এসেছে ইতিবাচক ইঙ্গিত। জমির ব্যাপারেও সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যারা চিকিৎসার জন্য আসেন, তাদের মধ্যে কার্ডিয়াক, নিউরো, গ্যাসট্রো, আর ক্যানসার রোগীর সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশে তৈরি ভারতের ডিসান হাসপাতালের এই চারটি বিষয়ে সুপারস্পেশালিটি সেবা থাকবে। পাশাপাশি মিলবে অন্যান্য চিকিৎসার সুবিধা। থাকবে সর্বাধুনিক ব্যবস্থা। আপাতত জায়গা ঠিক হয়নি। তবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা আর সিলেট, এর যে কোন একটি স্থানে হাসপাতাল তৈরি হবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে পরিষেবা। কোন পরীক্ষার জন্য এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগ কিংবা অপর হাসপাতালে ছোটাছুটি করতে হবে না। ভারতে যেমন এক ছাদের নিচে সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় বাংলাদেশেও ঠিক তাই হবে। দুই দেশের চিকিৎসকরাই থাকবেন। যারা নিজেদের মধ্য অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন। এখানে চিকিৎসার খরচ কেমন হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না, তবে ন্যায্য এবং মানবিক সেবা প্রদান নিশ্চিত করবে ডিসান। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন অঞ্চলের মুমূর্ষ রোগীদের হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসার ব্যবস্থা থাকবে।

কলকাতার ডিসান হাসপাতাল প্রতিষ্ঠান ২০০৮-২০০৯ সাল নাগাদ যাত্রা শুরু করে। দিনের পর দিন বেড়েছে হাসপাতালের পরিসর, উন্নত হয়েছে পরিষেবার মান। হাঁটু প্রতিস্থাপনে রয়েছে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। সুপার স্পেশালাইজড একটি কার্ডিয়াক হাসপাতাল ছাড়াও রয়েছে ইউরোলজি, ইএনটি, গাইনোকোলজি, ডার্মাটোলজি, নিউরোলজি, অর্থপেডিক্স সহ প্রায় ৩৯টা বিভাগ। এবার সেই মানের চিকিৎসা পাবে বাংলাদেশের মানুষ। ভারত বাংলাদেশিদের জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার ভিসা দিয়ে থাকে, যা বিশ্বের অন্য কোন দেশ কিন্তু দেয় না। ডিসান হাসপাতালও রোগীদের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহযোগিতা করে। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিয়ে দেয় ২৪ ঘন্টার মধ্যে। এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য আর একটা বড় প্লাস পয়েন্ট। যদি নিজেদের দেশেই ভালো হাসপাতাল তৈরি হয় তাহলে বাংলাদেশের বাইরে থাকা বহু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেশে ফিরে আসার একটা সুযোগ পাবেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here