ওয়েব ডেস্কঃ চলতি আর্থিক বছরের শুরুতে দেশের সবথেকে বড় ব্যাঙ্ক, ধাক্কা দিয়েছিল সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম জমার উপর চার্জ বসিয়ে।১লা মে থেকে সল্পজমা ফিক্সড ডিপোসিট এর সুদ একধাক্কায় ০.৫% কম করা হবে বলে জানাল এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
এতে মুলতঃ বিপদে পড়েছেন প্রবীন, অবসরপ্রাপ্ত নাগরিকরা যাদের মুলতঃ আয়ের উৎসই ব্যাঙ্কে রাখা সল্প ও দীর্ঘমেয়াদি এই বিনিয়োগ এর সুদ থেকেই, সব জিনিস এর বাজারদর, চিকিৎসার খরচ, ক্রমাগত বেড়ে চলা মাসিক ব্যয় এর উলটো দিকে আয় কমে যাওয়াতে দিশেহারা অনেক মধ্যবিত্তই।
তাঁরা এবং অর্থনীতিবিদরাও তুলছেন অনেক প্রশ্নঃ
- সারাদেশ কে নোটবাতিল ও ডিজিটাল পেমেন্ট এর দিকে নির্দেশ করে কেন্দ্রীয় সরকার যে ব্যাঙ্কিং সিস্টেম আনতে চলেছেন, তাকেই ব্যাবহার করে সাধারন মানুষের পকেট থেকে মিনিমাম ব্যালান্স, টাকা জমা-তোলার জন্য Transaction Charge এর নামে কোটি- কোটি টাকা তুলছে ব্যাঙ্ক গুলি।
- সমাজের প্রান্তিক এবং নিম্নবিত্তরাও এখন ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই লেন-দেন, রুজিরোজগার পেয়ে থাকেন, তাঁদের থেকে মিনিমাম ব্যালান্স এর নামে টাকা কেটে নিচ্ছে এসবিআই এর মতো ব্যাঙ্কগুলি
- এখনো অব্ধি এটিএম পরিসেবার দিকে সেভাবে নজর বা গ্রাহকদের স্বার্থে পরিসেবাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টাও চোখে পড়ছেনা।
- মানুষকে বাধ্য করে যেখানে ব্যাঙ্ক এর আওতায় নিয়ে যাওয়া চলছে, এতে নিঃসন্দেহে ব্যাঙ্কগুলির ব্যাবসা অনেক গুন বেড়েছে, তা স্বত্তেও কয়েক হাজার কোটির অনাদায়ী ঋণ নিয়ে মাথাব্যাথার থেকে বেশী ব্যাস্ত ব্যাঙ্কগুলি সাধারন মানুষদের জমানো ও কস্টার্জিত অর্থকে করায়ত্ত করতে।
- সর্বপরি নিয়মিত বেড়ে চলা মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও এভাবে সুদ কমিয়ে দেওয়ার উপর কেন্দ্রীয় সরকার কেন কোনো হস্তক্ষেপ করছে না।
- যেখানে সাধারন মানুষের সল্পসঞ্চয় (এক কোটি টাকা অব্ধি) থেকে সুদ কেটে নেওয়া হয়, সেখানে এক কোটি টাকার বেশী বিনিয়োগে সুদের কোনো হেরফের করা হচ্ছেনা কেন?