Home আপডেট ‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা’‌, নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্বে যুগ্ম সওয়াল ফিরহাদ–গৌতমের

‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা’‌, নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্বে যুগ্ম সওয়াল ফিরহাদ–গৌতমের

‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা’‌, নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্বে যুগ্ম সওয়াল ফিরহাদ–গৌতমের

[ad_1]

তৃণমূল কংগ্রেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ই শেষ কথা। কোথাও চলে যাচ্ছে না দলের রাশ। প্রবীণ–নবীন দ্বন্দ্বের মধ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি দলের সিনিয়র লিডার। তাঁর মুখে এমন কথা যেন নবীনের কাছে চ্যালেঞ্জের। এই প্রেক্ষাপটে একই সুরে সওয়াল করলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। ইতিমধ্যেই সুব্রত বক্সি, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা প্রবীণদের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই। পাল্টা জবাব এসেছিল। তারপর সন্ধ্যায় দেখা যায়, তৃণমূল সুপ্রিমোর বাড়িতে যেতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমকে।

তবে তারপরও এই দ্বন্দ্ব থামল না বলেই দেখা যাচ্ছে। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেছেন, ‘‌অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতের রাজনীতিতে আমাদের সাধারণ সম্পাদক। এই নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি লড়াই করেন, নিশ্চিতভাবে আমার ধারণা, তিনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে যাবেন না। যদি লড়াই করেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সামনে রেখেই লড়াই করবেন। আর জোড়াফুলকে সামনে রেখেই লড়াই করবে এই ব্যাপারে নিশ্চিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক যিনি আছেন, একত্রিত লড়াই করে বাংলার বুক থেকে বিজেপি ঠেকিয়ে দেবে। এই প্রত্যাশা আমাদের আছে।’‌

রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা হয়। কারণ তা পত্রপাঠ খারিজ করে দেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ব্যস, আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে আজ, মঙ্গলবার রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‌দলের রাশ আমার মনে হয় কোনও জায়গায় যাচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা।’‌ অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে পরে কিছু জানাতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন মেয়র। আবার দলের অন্দরে কে, কি বলছে তাতে তিনি কর্ণপাত করছেন না। কারণ দলের রাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই থাকছে বলে সাফ জানিয়ে দিলেন ফিরহাদ।

আরও পড়ুন:‌ পাতালপথে টোকেন বিভ্রাট, তিন লাইনেই চূড়ান্ত নাকাল হলেন মেট্রোর যাত্রীরা

আর এই একই সুরে প্রবীণদের পক্ষেই সওয়াল করলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তাঁর কথায়, ‘‌মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া দল অভিভাবকহীন। তিনি দলের একমাত্র নেত্রী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ নেতা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তুলনা হয় না। দলের প্রবীণদের উচিত তৃণমূলের ইতিহাস জানানো নবীনদের। আমি এখানে বলেছি দিদির লেখা বইয়ের উপজীব্য তুলে একটা বই বানিয়ে নতুনদের হাতে তুলে দেব। যাতে তাঁরা ইতিহাস জানতে পারেন। তৃণমূল কংগ্রেস আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমার্থক। জল ছাড়া যেমন মাছ বাঁচে না এখানেও তেমনটা। দিদি নিজেই বলেছেন, পরপর প্রজন্ম তৈরি করবেন। অভিষেক নিশ্চিতভাবে এই প্রজন্মের আইকন। তিনি আড়াই তিন মাস রাস্তায় ছিলেন। বিভিন্ন ভাষায় সুন্দর কথা বলেন। মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মমতার পর অভিষেক নিশ্চিতভাবে মানুষের মনে জায়গা করে নেবেন।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here