Home অফ-বিট মহাকাশে চীনের ঘর-বাড়ি ? চাঁদের ইঁট-রং-জ্বালানি অ্যাসেট, ভারতকে টেক্কা দিতে গ্র্যাণ্ড প্ল্যান বেজিংয়ের

মহাকাশে চীনের ঘর-বাড়ি ? চাঁদের ইঁট-রং-জ্বালানি অ্যাসেট, ভারতকে টেক্কা দিতে গ্র্যাণ্ড প্ল্যান বেজিংয়ের

মহাকাশে চীনের ঘর-বাড়ি ? চাঁদের ইঁট-রং-জ্বালানি অ্যাসেট, ভারতকে টেক্কা দিতে গ্র্যাণ্ড প্ল্যান বেজিংয়ের

[ad_1]

চাঁদেই তৈরি হবে ঘর-বাড়ি? গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে কিভাবে চাঁদে বসতি গড়বে চীন? চাঁদের মাটি দিয়েই তৈরি হবে মহাকাশ স্টেশন। হবে রং ও। জ্বালানির জোগান ও দেবে চাঁদ। ইঁট থেকে শুরু করে বহুতল, ভারতকে টেক্কা দিতে আর কি কি করবে বেইজিং? চীনের বড় সিক্রেট ফাঁস। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতের চন্দ্রযান থ্রির সফট ল্যান্ডিং এর পর থেকেই চীনের গাত্রদাহ শুরু। ভারতকে টেক্কা দিতে নিল বড় পদক্ষেপ। সরাসরি চাঁদে বহুতল বানানোর প্ল্যানিং। উপগ্রহ চাঁদে পাকাপাকিভাবে বসতি গড়ে তোলা যায় কিনা, সেই টার্গেট নিয়েই আগামীদিনে চন্দ্র অভিযান করবে চীন।

চ্যাং-৮ মিশনের মোটোই হবে চাঁদের আবহাওয়া ও মাটিতে কী কী ধাতু রয়েছে, সেই সংক্রান্ত গবেষণা চালানো। ওই মিশনে থ্রিডি প্রিন্টিং টেকনোলজি নামিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠ সংক্রান্ত সব তথ্য সংগ্রহ করা হবে। আসলে, দীর্ঘ সময় ধরে চাঁদের বুকে থাকতে হলে, সেখানে মুন স্টেশন তৈরি করতে হবে। এটা বুঝে গেছে বেইজিং। তাই এবার চাঁদের ধাতু দিয়েই মুন স্টেশন নির্মাণ করার কথা ভাবছে চীন।
সেক্ষেত্রে কাঁচা মাল হবে চাঁদের মাটি। নির্মাণ প্রকল্পগুলোতে রঙের কাজেও ব্যবহার করতে হবে ওই মাটি। তবে চীনের এই মাস্টারপ্ল্যান গোপন থাকেনি। পুরো বিষয়টাই চীনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে খোলসা করে বলেছেন চীনের ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বিজ্ঞানী ইউ ওয়ারেন। না এখানেই শেষ নয়। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে চাঁদের বুকে বহুতল তৈরির পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক বিশেষজ্ঞের কথায়, ২০২৮-এ চ্যাং ৮ মিশনের সময় চন্দ্রপৃষ্ঠে ইঁট তৈরি করা হবে। চাঁদের মাটি ব্যবহার করে এই ইঁট তৈরি করবে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি রোবট।

চলতি মাসের শুরুতেই চীনা মিডিয়ায় এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তবে এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২১ সালে চীন-রাশিয়া পাকাপাকি ভাবে চাঁদে মহাকাশ স্টেশন বানাবে বলে মউ স্বাক্ষর হয়েছিল। চাঁদের সেই স্টেশনের নাম ‘আন্তর্জাতিক চাঁদ গবেষণা স্টেশন’। জানা গেছিল গবেষণা চালানোর জন্য সেই স্টেশনে যেতে পারবেন যে কোনও দেশের মহাকাশচারী! যে কোনও দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ওই স্টেশনে গবেষণার জন্য যন্ত্রপাতিও পাঠাতে পারবে। এই স্টেশনের উদ্দেশ্য ও কাজকর্ম হবে বহুমুখী! স্টেশনটা যাতে দীর্ঘ দিন ধরে অটোমেটিক্যালি চলতে পারে, সেই বন্দোবস্ত ও করা হবে! এমনকি ওই স্টেশন চালাতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর পৃথিবী থেকে জ্বালানি যেন পাঠাতে না হয়, সেই জ্বালানি যেন চাঁদের মহাকাশ স্টেশনই বানিয়ে নিতে পারে, সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। স্টেশনটা একই সঙ্গে থাকতে পারে চাঁদের মাটি ও কক্ষপথে। আবার প্রাথমিক ভাবে সেটা শুধুই চাঁদের কক্ষপথেও বানানো হতে পারে। অর্থাৎ বিরাট প্ল্যানিং। এবার পুরোটাই এক্সিকিউট করার পালা।

তোড়জোড় চলছে। আগামী দিনে মানব বিহীন চ্যাং ৬, ৭ ও ৮ মিশন এর পরিকল্পনা করছে ড্রাগনল্যান্ড তবে, ভারত ও বসে নেই। মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন বানাতে চলেছে ভারত। যেখানে সেখানে মাইক্রোগ্র্যাভিটি স্তরের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। গগনযান প্রজেক্ট এর অংশ হিসেবেই মহাকাশে তৈরি হবে এই স্পেস স্টেশন।
এখন দেখার, ভারতকে টেক্কা দিতে মহাকাশ জয়ের প্রতিযোগিতায় কিভাবে কামাল করবে চীন?

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here