Home অফ-বিট মহাশূন্যে দাঁত মাজা থেকে স্নান বিরাট ঝামেলার! মহাকাশের আজব জীবন কেমন ? জানুন

মহাশূন্যে দাঁত মাজা থেকে স্নান বিরাট ঝামেলার! মহাকাশের আজব জীবন কেমন ? জানুন

মহাশূন্যে দাঁত মাজা থেকে স্নান বিরাট ঝামেলার! মহাকাশের আজব জীবন কেমন ? জানুন

[ad_1]

মহাশূন্যে কীভাবে দিন কাটান মহাকাশচারীরা? স্নান থেকে দাঁত মাজা বিরাট ঝক্কির ব্যাপার খাবার খেলেও কোনও স্বাদ পাওয়া যায় না। ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার! মহাকাশচারীরা কী কী খান? ঢেকুর তোলা যায় না, সারাক্ষণ গা বমি লাগে মহাকাশে শরীর খারাপ হলে কী করা হয়? মহাকাশের আজব জীবন সম্পর্কে জানুন। যেখানে প্রতি সেকেন্ডে মৃত্যুর হাতছানি। মহাকাশচারীরা আমার আপনার মতই মানুষ। কিন্তু তারা যা পারেন আমরা তা পারব না। মহাশূন্যে ভেসে জীবন কাটানো সহজ কথা নয়। কীভাবে সকাল থেকে রাত কাটান মহাকাশচারীরা?

মহাকাশে খাবার যাই খাবার খান না কেন কোনও টেস্ট পাবেন না। ঢেকুর তোলা যায় না। কারণ জিরো গ্রাভিটিতে গ্যাস ওপরে ওঠে না। গা বমি লাগে সব সময়। মহাকাশযানে  কোনও বেসিন থাকে না। থাকে না ট্যাপ কল। দাঁত মাজাটাও বিরাট ঝামেলার ব্যাপার। ব্রাশের পর কুলকুচি করতে পারেন না। ভেজা টিস্যু পেপার দিয়ে দাঁত মুছে ফেলেন মহাকাশচারীরা। সাবান আর শ্যাম্পু ব্যবহার করে ফেনা ধুতে জল দেওয়া যায় না। তোয়ালে নিয়ে তা মুছে দেওয়া হয়। খুবই ছোট্ট জায়গায় ভেসে ভেসে থাকেন মহাকাশচারীরা।আমাদের মতো তিন বেলা খাবার খান। সেই খাবার নিয়ে যাওয়া হয় অনেক হিসেব করে। মহাশূন্যে কী খেয়ে বাঁচেন?

মহাকাশে  খাবার নিয়ে যাবার জন্য আবার সেই খাবারকে ভাল রাখতে খরচ হয় লক্ষ লক্ষ টাকা। তাই প্রত্যেক মহাকাশচারীর জন্য নিদিষ্ট পরিমাণ মহাকাশযান কিংবা স্টেশনে ফ্রিজ থাকে না।তাই খাবার সেখানে শুকনো করেই সংরক্ষণ করা হয়। খাবার ভরা থাকে টুথপেস্টের মতো টিউবের মধ্যে খাওয়ার সময় মহাকাশচারীরা গরম জল ঢুকিয়ে দেন টিউবে। তারপর টিউবে চাপ দিয়ে মুখে খাবার ঢালেন। ব্রেকফাস্টে ফল ও ফলের রস থাকে। লাঞ্চ হয় সবজি, পাস্তা, নুডলস দিয়ে। ডিনারে বিভিন্ন ধরণের স্যুপ, পুডিং , পোলাও। জলের জন্য ওয়াটার পাউচ ব্যবহার করেন মহাকাশচারীরা। যে পাউচে চাপ দিলে ফোঁটা ফোঁটা জল বেরিয়ে আসে।

মহাকাশে দিন রাত বলে কিছুই নেই, তাহলে তাঁরা ঘুমোন কী ভাবে! ঘুমোনোর আগে মহাকাশচারীরা নিজেকে বিছানার সঙ্গে বেল্ট দিয়ে বেঁধে নেন। যাতে ভাসতে ভাসতে কোথাও গিয়ে ধাক্কা না খান। মহাকাশে কোনটা উপরদিক বা কোনটা নীচ বোঝা যায় না। মহাকাশে মহাকাশচারীদের উচ্চতা দুই ইঞ্চি বেড়ে যায়। পৃথিবীতে ফেরার পর উচ্চতা আবার কমে যায়। মহাকাশে শরীর খারাপ হলে মুশকিল কারণ মহাকাশযানে ডাক্তার বা হাসপাতাল নেই। শরীর অসুস্থ্য হলেও পৃথিবীতে ফেরার উপায় নেই। তাই তাদের এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যাতে নিজেরাই চিকিৎসা করতে পারেন।

তাঁদেরও সপ্তাহে দুদিন ছুটি থাকে। ছুটির দিনগুলিতে তাঁরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। গান শুনে, সিনেমা দেখে সময় টাকান। আর নাহলে মহাকাশযানের ছোট ছোট জানালা দিয়ে দূরের পৃথিবীকে দেখে সময় কাটান।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here