[ad_1]
ধুরন্ধর মোসাদ মাটিতে মিশে গেল। ইসরাইল ফোর্সের উপরেও নেমে এলো বিশাল ফাঁড়া। যুদ্ধের মাঝেই নেতানিয়াহুর সুপার মুভ। হামাসের প্ল্যানে মোসাদের হাত? সত্যিই কি সব জানতো আইডিএফ? কোন অন্ধকারে ডুবে ছিলেন নেতানিয়াহু? এ কোন জালে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়াচ্ছে ইসরায়েল? নিজেদের মধ্যেই আকচা আকচি শুরু। হামাসের তাণ্ডব ইসরায়েল কে কোথায় পৌঁছে দিল? সব জেনেও ঘাপটি মেরে বসেছিল ইসরাইলের সাঙ্ঘাতিক ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি মোসাদ? ব্যর্থতা নাকি কন্সপিরেসি? প্রশ্নটা উঠল ইহুদী ভূমিতেই। তুললেন খোদ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ইসরাইলের উপর হামাসের হামলা হঠাৎ নয়? জেহাদি নেটওয়ার্কের নাড়ির খবর টেনে বের করতে যারা ওস্তাদ, ইসরাইলের সেই গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ, সেনাবাহিনী আইডিএফ সবাই হামাসের প্ল্যানিং জানতো?
সেই খবর ঘুনাক্ষরেও টের পাননি নেতানিয়াহু। জানতেন না নাকি জানতে দেওয়া হয়নি? ইসরাইলের উপর হামাস অ্যাটাকের প্ল্যান নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নেতানিয়াহুর। ঠিক কি বলেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, যা ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলেও তোলপাড় শুরু? ইসরাইলের সেনা ও গোয়েন্দা বিভাগের কাছে হামাসের পরিকল্পনার খবর থাকলেও সেই বিষয়ে নেতানিয়াহুকে কিছুই জানানো হয়নি। হামাসের আচমকা হামলা নিয়ে তিনি কিছুই জানতেন না বলে সাফ দাবি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর। আন্দাজ করতে পারছেন কত বড় কথা বলে দিয়েছেন নেতানিয়াহু? ইসরাইল কী নিজেদের জালেই নিজেরা জড়িয়ে যাচ্ছে?
অলরেডি নেতানিয়াহুর এই মন্তব্য ঘিরে ইসরাইলের অন্দরেই বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। এতো বড় যুদ্ধের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য আসলে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ বলেই মনে করছে ইসরাইলের রাজনৈতিক মহল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মন্তব্য নিয়ে নেতানিয়াহু পোস্ট ও দিয়েছিলেন, কিন্তু বিরোধী রাজনীতিকদের তোপের মুখে পড়ে পোস্টটা পরে ডিলিট করে দেন। তবে তাতে বিতর্কের ঝড় থামেনি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ইসরাইল যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে, এখন দেশের নেতাদের উচিত দায়িত্ব সহকারে কাজ করা! দেশের সেনাকে সঠিক পথে চালনা করা, যেন তারা নির্দিষ্ট কাজটা শেষ করতে পারে আর যাদের কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নেতানিয়াহু এতো বড় মন্তব্য টা করে বসলেন তাঁরা কী বলছেন? নেতানিয়াহুর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ইজরায়েল সেনার মুখপাত্র।আপাতত যুদ্ধের দিকেই মন দিতে চাইছেন তাঁরা। কিন্তু ৭ ই অক্টোবর থেকে শুরু করে এতোগুলো দিন কেটে গেল, যুদ্ধ চলছে। থামার কোনও ইঙ্গিত ও নেই। আর ঠিক তারই মাঝে দেশের সেনা, গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহু এতো বড় মন্তব্য করে বসলেন কী এমনি এমনি?
বিরোধীদের দাবি, রাজনৈতিকভাবে নিজের দিকে সমর্থন পেতেই এই স্ট্র্যাটেজি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর। ইসরাইলের বুকে হামাসের হামলার পরেই প্রশ্ন উঠেছিল, কিভাবে মোসাদকে ঘোল খাওয়াল প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস? এত বড় অভিযানের পরিকল্পনার কথা কেন জানতে পারল না ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ? গলদটা কোথায়? অতিরিক্ত গ্যাজেট নির্ভরতাই ইহুদী ভূমির কাল? রিপোর্ট মোতাবেক, এটাও সামনে উঠে আসে যে হামাস আক্রমণের দিনক্ষণ নিয়ে আগেই নাকি ইজরায়েলকে সতর্ক করেছিল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ। হামলার একদিন আগেই আমেরিকার আধিকারিকদের হাতে একটি রিপোর্ট আসে যেখানে, হামাসের সন্দেহজনক কার্যকলাপ নিয়ে বেশ কিছু তথ্যের উল্লেখ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ সেই খবর যে ইসরাইল কে জানাবে এটা স্বাভাবিক। প্রশ্ন উঠেছিল তাহলে কী ভয়ংকর কোনও বিপদ যে শিয়রে সেই সম্পর্কে সব জানতো নেতানিয়াহুর সরকার? এই নিয়ে ইসরাইলের ভেতরেই জোর চাপানউতোর শুরু। তার মধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করে আরও চাপে নেতানিয়াহু। তাহলে কী চাপে পড়ে নিজেকে বাঁচাতেই কূটকৌশলের পথে হাঁটলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী? এই একটা প্রশ্নই চারদিকে ঢিঢি পড়ে গেছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়