[ad_1]
শারীরিক অসুস্থতার কারণে উঠে যাচ্ছিল মাথার চুল। সেই কারণে যুবতীর চুল কেটে ছোট করে দিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, তা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি ওই যুবতী। শেষ পর্যন্ত তিনি চরম পথ বেছে নিলেন। আত্মঘাতী হলেন যুবতী। ঘটনাটি নদিয়ার ধুবুলিয়া থানার সিংহাটি এলাকার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাড়ি থেকে ওই যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে।
আরও পড়ুন: মৃতদেহ ভুল করে অন্য পরিবারকে দিল হাসপাতাল, স্বামী ভেবে আত্মঘাতী অপরের স্ত্রী
জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর নাম সোহানি মল্লিক। তিনি ধুবুলিয়ার সিংহাটি এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন ওই যুবতী। তবে যুবতীর সমস্যা শুরু হয় গত কয়েক বছর আগে থেকে। জানা যায়, মাঝেমধ্যেই খিঁচুনি দেখা দিত যুবতীর। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন তিনি মৃগী রোগে আক্রান্ত। তারপর থেকে তরুণীর চিকিৎসা চলছিল। পরিবারের সদস্যদের দাবি, নিজের চুল ছিঁড়ে ফেলতেন তিনি। সেই কারণে তারা সোহিনীর চুল কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত চুল কাটা হয়। কিন্তু, চুল কাটার পর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন সোহিনী। এরপর ঘরের ভেতর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তড়িঘড়ি পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ধুবুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশ। তারা দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এ বিষয়ে ধুবুলিয়ার নওয়াপাড়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের এক সদস্য জানান, যুবতীর মৃগী রোগের চিকিৎসা চলছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। মাঝেমধ্যেই ওই যুবতী মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলতেন। তাছাড়া চুল উঠে যাচ্ছিল সেই কারণে মাথার চুল ছোট করে দিয়েছিলেন পরিবার সদস্যরা। কিন্তু, সেটা তিনি মানতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা পথ বেছে নেন।
যদিও এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে কীভাবে মৃত্যু হল সে বিষয়টি আরও স্পষ্টভাবে জানতে পারবে পুলিশ।।এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা।