Home আপডেট ‘‌মানুষ হাফ ও ফুল মার্ডার করা হয়’‌‌, ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে প্রচার সুপারি কিলিংয়ের

‘‌মানুষ হাফ ও ফুল মার্ডার করা হয়’‌‌, ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে প্রচার সুপারি কিলিংয়ের

‘‌মানুষ হাফ ও ফুল মার্ডার করা হয়’‌‌, ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে প্রচার সুপারি কিলিংয়ের

[ad_1]

রীতিমত নিজের ছবি, ফোন নম্বর দিয়ে মানুষকে খতম করার জন্য ‘সুপারি কিলিং’–এর বিজ্ঞাপন আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে এলাকায় পোস্টারিং করে প্রচার চলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ক্যানিংয়ে। আর এই ঘটনার খবর জানতে পেরেই ক্যানিংয়ের ধর্মতলা গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোরসেলিম মোল্লা ওরফে বুলেটকে গ্রেফতার করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। এই প্রচার এবং ভিজিটিং কার্ড দেখে পুলিশেরও প্রথমে আত্মরাম খাঁচা হয়ে গিয়েছিল। তারপর যত তদন্ত এগিয়েছে ততই মানুষ খুনের নানা ছক সামনে এসেছে।

কেমন ছিল খুনের প্রচার?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্যানিংয়ের ধর্মতলা গ্রামের মানুষজন এই ভিজিটিং কার্ড হাতে পেয়েছেন। তাতে লেখা—‘‌পথের কাঁটা সরাতে হবে?‌ চিন্তার কিছু নেই। সঠিক দাম পেলেই কাজ হবে।’‌ আবার লেখা—‘‌মানুষ হাফ ও ফুল মার্ডার করা হয়।’‌ সেই ভিজিটিং কার্ডে নিজের নাম, মোবাইল নম্বর এমনকী নিজের ছবি দিয়ে সুপারি কিলিংয়ের বিজ্ঞাপন করা হচ্ছিল। এই কার্ড হাতে পেয়েই ক্যানিং থানায় খবর দেওয়া হয়। তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় মোরসেলিম মোল্লা ওরফে বুলেটকে। ধৃতের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি দেশি বন্দুক ও দু’‌রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, গত দু’‌তিন ধরেই এলাকার বিভিন্ন সূত্র মারফত এই ভিজিটিং কার্ডের খবর আসছিল। সোমবার ক্যানিংয়ের ধর্মতলা এলাকা সহ সংলগ্ন বেশ কয়েকটি জায়গায় পোস্টারও পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরেই ক্যানিং থানার বিশেষ তদন্তকারী দল সাব–ইন্সপেক্টর রঞ্জিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হানা দেয় ধর্মতলা গ্রামে। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আগেও বেআইনি অস্ত্র পাচারের অভিযোগে ২০২২ সালের অগস্ট মাসে গ্রেফতার হয়েছিল এই মোরসেলিম। এবার সরাসরি সুপারি কিলিংয়ের জন্য ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে প্রচার করতে শুরু করে মোরসেলিম।

আরও পড়ুন:‌ মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে কলকাতায়, নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্য সহ তিনজনের খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারের ভাগ্নে মোরসেলিম মোল্লা। ওই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে ক্যানিং থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু তখন নাবালক হওয়ার কারণে জামিন পেয়ে যায় মোরসেলিম। স্থানীয়দের দাবি, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই এলাকার মানুষকে ভয় দেখাত অভিযুক্ত। গত কয়েকদিন ধরে মানুষ খুন করার জন্য সুপারি নেওয়ার বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে। তবে পুলিশের জেরায় নিজের অপরাধ কবুল করেছে অভিযুক্ত। মোরসেলিম মোল্লার কথায়, ‘‌ইচ্ছে হয়েছে তাই কার্ড ছাপিয়েছি। কাজের প্রচার করেছি।’‌ আর এসডিপিও ক্যানিং দিবাকর দাস বলেন, ‘‌এমন কোনও ঘটনা সে আগে করেছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথা থেকে এই ভিজিটিং কার্ড, পোস্টার ছাপানো হল সেটারও খোঁজ চলছে।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here