[ad_1]
পারাদীপ ঘোষ, কলকাতা: অ্যাকাডেমি ছিল তাঁর স্বপ্ন। তিনি জীবিত থাকাকালীন নিজের জন্মদিনটা পালন করতেন কলকাতা থেকে দূরে, দুর্গাপুরের অ্যাকাডেমিতে। মোহনবাগানের রেকর্ড মেয়াদের সচিব অঞ্জন মিত্র। অঞ্জনদা আজ নেই, কিন্তু তাঁর জন্মবার্ষিকীতে আজও আবেগে ভাসে মোহনবাগানীরা। রজনীগন্ধা, চন্দ্রমল্লিকার পাহাড় জমে সবুজ মেরুন মহল্লায়।
২০ জুলাই মানেই যেন সবুজমেরুনিদের এক হওয়া। কোথাও ‘অঞ্জনে অঞ্জলি’ তো কোথাও আবার মিত্র স্মরণ। তবে আলাদা করে প্রশংসার দাবি রাখে ময়দানের ‘অঞ্জনে অঞ্জলি’। মোহনবাগান ক্লাবের অদূরে গোষ্ঠ পালের মূর্তির নীচে অল বেঙ্গল স্পোর্টস লাভারদের ব্যানারে রক্তদান শিবির। সাত সকালেই বটতলায় হাজির আম বাগান জনতা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে হাজির বাগানের বিভিন্ন মেরুর কর্মকর্তারা। প্রয়াত ক্লাব সচিবের জন্মবার্ষিকীতে রক্তদানেও উৎসাহের ঢল।
আরও পড়ুন– সবচেয়ে বড় অফিস ভবন! সুরাতের চালে মাত পেন্টাগন
সব থেকে বড় কথা, মিত্র দিবসে মিলনোৎসবের চেহারা নিল ময়দান। স্বাধীন মল্লিক, মদন দত্তের মতো বাগানের পুরোনো মুখের পাশাপাশি বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় ঘোষ, সিদ্ধার্থ রায়ের মতো বর্তমান মুখেদের জোরালো উপস্থিতি। অরিঞ্জয়দের মতো সবুজ – মেরুনের ভবিষ্যতের প্রজন্মও মুখে হাজার ওয়াটের হাসি ঝুলিয়ে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন– এই ছবি করার কথা ছিল হেমা মালিনীর; কিন্তু পরিবর্তে দেখা যায় অন্য অভিনেত্রীকে! দু’জনের চেহারার মিল দেখে তাজ্জব হন ভক্তরা
অঞ্জন মিত্রর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে গিয়ে গৌতম সরকার, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত ভট্টাচার্যদের গলা বুজে আসছিল। এবারের মোহনবাগান-রত্ন গৌতম সরকার বলছিলেন, খেলার দিনগুলোতে কিভাবে ফুটবলারদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যেতেন অঞ্জন মিত্র। সামনেই আত্মজীবনী প্রকাশ বাগানের ঘরের ছেলে সুব্রত ভট্টাচার্যর। অঞ্জনে অঞ্জলি অনুষ্ঠানে এসে নস্টালজিয়ায় ভাসলেন সবুজ মেরুনের বাবলুদাও। নিজের খেলোয়াড় জীবনের কথা মনে করিয়ে ক্লাবের প্রতি টুটু বোস ও অঞ্জন মিত্রর বন্ধুত্ব আর বোঝাপড়ার উদাহরণ টানছিলেন সুব্রত।
ক্লাবের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বোস খানিকটা আক্ষেপের সুরেই জানাচ্ছিলেন, ‘‘কলকাতা ময়দানে টুটু-অঞ্জনের জুটি মিথ হয়ে থাকবে। এমন জুটি আর আসবে না!’’
Tags: Anjan Mitra, Mohun Bagan