Home বিদেশ মিয়ানমার শত্রুতা তো করবেই, বাংলাদেশের হাতে যে আছে এই অবিশ্বাস্য জ্যাকপট

মিয়ানমার শত্রুতা তো করবেই, বাংলাদেশের হাতে যে আছে এই অবিশ্বাস্য জ্যাকপট

মিয়ানমার শত্রুতা তো করবেই, বাংলাদেশের হাতে যে আছে এই অবিশ্বাস্য জ্যাকপট

[ad_1]

দক্ষিণ এশিয়ার সেরা আইল্যান্ড বাংলাদেশে! অবিশ্বাস্য ব্যাপার। বাংলাদেশেই পাবেন বিদেশের পর্যটন পার্ক। দৌড়ে যেতে হবে না ব্যাংকক কিংবা পাতায়ায়। ভাগ্য খুলে যাবে দেশটার। কিন্তু শত্রুতা করছে মিয়ানমার। ভেস্তে দিচ্ছে সব প্ল্যান। বাংলাদেশের জালিয়ারে জ্যাকপট। আগ্রহ দেখাচ্ছে তাবড় তাবড় দেশ। কোন খাজানা রয়েছে এখানে? বাংলাদেশের সঙ্গে শত্রুতা করে পেরে উঠছে না মিয়ানমার!

ম্যাপে স্পষ্ট, একদিকে মিয়ানমার এক দিকে বাংলাদেশ। মাঝে আছে বাংলাদেশের মালিকাধীনে একটা ভূখণ্ড তথা জ্যাকপট। যেখানে গড়ে উঠছে পরিকল্পনার ইমারত। বলছি জালিয়ার দ্বীপের কথা। সমুদ্রের নীল জলরাশি ঘেরা বাংলাদেশে এমন কিছু দ্বীপ রয়েছে, দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। যেখানে চলছে পর্যটন খাতের মহাযজ্ঞ। জিডিপিতে আসতে চলেছে বড় বদল। চাকরি পাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের কক্সবাজারের সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, জালিয়ার দ্বীপের নাফ ট্যুরিজম পার্ক আর সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্কের কাজ দ্রুত কদমে এগিয়ে চলেছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে পার্কগুলো চালু হয়ে যাবে। একসঙ্গে থাকার সুবিধা পাবেন প্রায় ৪০ হাজারের বেশি পর্যটক। সাবরাং থেকে কেবল কারে যেতে পারবেন জালিয়ার দ্বীপে।

একটা সময়, এই জালিয়ার দ্বীপটি মানুষ চিনতই না। কয়েক দশক ধরে দ্বীপটি জেগে উঠেছে কক্সবাজারের নাফ নদীর পাহাড়ি কুল ঘেঁষে। এখন ২৭১ একরের ভূমিতে চলেছে বিস্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা। বিশেষজ্ঞরা বুঝেছেন, এই মাটিতেই আছে সোনা। শুধু ফলাতে জানতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজা এখানে অবকাঠামোক উন্নয়নে রীতিমত দরপত্র আহ্বান করে। ২০১৭ তে জালিয়ারে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতের স্বনামধন্য পর্যটন সেবাদানকারী বহু প্রতিষ্ঠান। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এখানে থাকবে কেবল কার, রিসোর্ট, ঝুলন্ত ব্রিজ, ভাসমান রেস্তোরাঁ, ইকো কটেজ, সুইমিং পুল, ফান লেক, অ্যাকোয়া লেক, মাছ ধরার জেটি, কনভেনশন সেন্টার, শিশু পার্ক সহ বিনোদনের প্রচুর অপশন।

কিন্তু বারংবার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে মিয়ানমার। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এখানেই নাফ ট্যুরিজম পার্কের মহা পরিকল্পনার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সরকার। চলতি বছরে আপত্তি জানায় মিয়ানমার। আসলে জালিয়ার দ্বীপ রয়েছে একদম নদীর মোহনায়। পার্ক তৈরি করতে গেলে নদী থেকে বালু তুলতে হবে। আর সেখানেই আপত্তি মিয়ানমারের। এমনি থেকেই দ্বীপটি নিয়ে জটিলতার শেষ নেই। এই জমি বুঝে নিতে বাংলাদেশ সরকারকে পোহাতে হয়েছে দীর্ঘদিনের আইনি ঝামেলা। জালিয়ারের গায়ে বাংলাদেশের নেটং পাহাড়। বিনিয়োগ পেতে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে চীনকে। কারণ চীন যদি এখানে বিনিয়োগ করে, তাহলে হয়ত মিয়ানমার মাটি তোলার ক্ষেত্রে রাজি হয়ে যেতে পারে। এই বিষয়ে বাংলাদেশ চিঠি পাঠিয়েছে চীনা দূতাবাসে।

যদিও থেমে যায়নি স্বপ্নের দৌড়। পাহাড় আর নদী ঘেরা সৌন্দর্য মুগ্ধ প্রাকৃতিক দ্বীপে গড়ে উঠতে চলেছে বাংলাদেশের প্রথম বিশেষায়িত পর্যটন পার্ক। কয়েক বছর আগেই এই পার্ক নির্মাণে প্রায় ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের জন্য সমঝোতা স্মারক সই করেছিল থাইল্যান্ডের এক প্রতিষ্ঠান। পরিকল্পনা সফল হলে বাংলাদেশে বাড়বে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা। নতুন গতি আসবে দেশটির অর্থনীতি সহ শিল্পায়নে। সেই পরিকল্পনায় তৈরি হচ্ছে প্রায় একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here