[ad_1]
বিশ্বভারতীতে উপাচার্য পদে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কর্মজীবনের শেষ দিন ছিল বুধবার। তার ঠিক আগের দিন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বিদ্যুৎ। সেই চিঠি উদ্দেশ নিয়ে ইতিমধ্যেই নানামহলে প্রশ্ন উঠছে। এবার চিঠির ভাষা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন প্রলয় নায়েক নামে এক ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, প্রলয় বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী এবং হুগলির একটি কলেজের শিক্ষক। আবার বীরভূম জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদেরও সভাপতি তিনি। প্রশ্ন উঠছে, এই ভাবে সরকারি পদে থেকে কী ভাবে উপাচার্যের বিরুদ্ধে এ ভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারে তিনি?
শান্তিনিকেতন থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগ পত্রে প্রলয় নায়েক লিখেছেন, গত ৭ নভেম্বর বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাডে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর, অপমানজনক এবং শ্লেষাত্মক মন্তব্য করেছেন। এই ধরনের মন্তব্য প্ররোচনামূলক। উপাচার্যের এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ।
এক সঙ্গে শঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এ নিয়ে যে কোনও সময় বড়সড় অশান্তি হতে পারে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশকে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন।
তবে এর আগেও একাধিক বার উপাচার্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শেষলগ্নেও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আশ্রম এলাকার একাধিক গেট তালা বন্ধ করে রেখেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এই হেরিটেজ স্থানে নিজের নামের ফলক লাগিয়েছেন। আর এভাবে বেআইনি জবরদখলকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বেআইনিভাবে ট্রাস্টের সম্পত্তির চরিত্র বদল ও সত্ত্ব পরিবর্তন করে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছেন। এমনকী কৌশলে ট্রাস্টের সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে চাইছেন।’
আজই ছিল তাঁর মেয়াদ শেষের দিন। কিন্তু তার আগেই গাড়ি নিয়ে লম্বা ছুটিতে বেরিয়েছেন উপাচার্য।