[ad_1]
সম্প্রতি ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে। আর তারপরই আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি রাস্তা পূর্ত দফতরের কাছ আছে। যার দাবিদার বিশ্বভারতী। তাই পূর্ত দফতরের থেকে ফেরত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ওই রাস্তার যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বলে সূত্রের খবর।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এই বিষয়টি নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ওই রাস্তাটি পূর্ত দফতরের কাছে চলে যায়। কিন্তু সম্প্রতি শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। আর তাই শান্তিনিকেতনের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা রক্ষা করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই সাহায্য চাইছে বিশ্বভারতী। মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘পূর্ত দফতরের কাছে যাওয়া ওই রাস্তাটিতে চার চাকার গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে চান। এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করলে কাঁপুনিতে আশ্রমের ভবনগুলি ক্ষতিগ্রস্তের সম্ভাবনা রয়েছে।’ চিঠির সঙ্গে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের সতর্কবার্তাও জুড়েছেন তিনি।
ঠিক কী বলছেন উপাচার্য? পূর্ত দফতরের হাতে যাওয়া রাস্তার উপর বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে। সে কথা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে লিখেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আনন্দ ও মৃণালিনী পাঠশালার কথাও উল্লেখ করেছেন। বিশ্বভারতীর উপাচার্যে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। ওই রাস্তার উপর কাঁপুনি বন্ধ না হলে ভবনগুলি ভেঙে পড়তে পারে। তাছাড়া গাড়ির শব্দে আশ্রম এলাকার শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রাজ্যপালের জরুরি তলব, ছুটলেন রাজভবনে
আর কী জানা যাচ্ছে? বিশ্বভারতীর সঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের জমি নিয়ে যে জটিলতা দেখা দিয়েছিল তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নথি নিয়ে পৌঁছে যান প্রতীচীতে। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন উপাচার্য। এবার তিনি লিখেছেন, ‘বেপরোয়া গাড়ির জেরে পথ দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। তাই অনুরোধ, যাতে শান্তিনিকেতনের ওই রাস্তাটি বিশ্বভারতীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ওই রাস্তাটিতে চার চাকার গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে রাস্তাটি ফিরে পেতে চাইছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।