[ad_1]
বাংলাদেশকে এবার দিতে হবে বড় পরীক্ষা। ফেল করলেই নাক কাটা যাবে। দেশটাতে চলছে সীমা লঙ্ঘনের কালচার। অতিরিক্ত নাক গলাচ্ছে রাষ্ট্রদূতরা। যা একদম পছন্দ নয় হাসিনা সরকারের। রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। তাই নির্বাচনের আগেই আটঘাট বেঁধে অত্যন্ত সতর্ক আওয়ামীলীগ। তাহলে কি শান্ত মাথায় মুখ বন্ধ করতে চাইছে বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের? বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশই। নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার আগেই চরম উত্তেজনা। শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা কতটা?
যে কোনো মুহূর্তে ঘোষণা হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের তফসিল। মুহূর্তটা ভীষণ ভাইটাল। এখন যদি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশী রাষ্ট্র দূতরা হস্তক্ষেপ করে, তাহলে জটিলতা বাড়তে পারে বলে মনে করছে বাংলাদেশ সরকার। এমনি থেকেই দেশটার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি একদম ভালো নয়। দেশ জুড়ে চলছে আগুন, ভাঙচুর, গ্রেফতার। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে বিশ্বের বহু দেশ চাইছে সুষ্ঠ সমাধান। কিন্তু আওয়ামী লীগ আর বিএনপিসহ দেশটার অন্যান্য রাজনৈতিক দল এখনো আলোচনায় বসেনি। তাহলে কি এই মুহূর্তে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতদের গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। এড়িয়ে যেতে চাইছেন এক্সট্রা ঝামেলা? কিন্তু গন্ডগোল বাঁধলেই তো তারা কথা বলবে। এর আগেও বলেছে। তাহলে কি আগে থেকে রাষ্ট্রদূতদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে? উঠছে হাজারো প্রশ্ন। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি আর আন্তর্জাতিক রাজনীতি যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। বিদেশি রাষ্ট্র গুলো একের পর এক দিয়েছে বিবৃতি।
দেশটার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের মতে, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশী কূটনীতিকদের কথা বলা একদম পছন্দ করছে না সরকার। তারপরেও দেওয়া হয়েছে কালচারার স্পেস। কারণ এই সংস্কৃতি বাংলাদেশের বহুদিনের। তবে বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশই। বহু দেশই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় গবেষণা করে দেখেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে ৭০% কিংবা তারও বেশি। আবার সেই সব দেশেই ভেঙে পড়েছে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের কাঠামো। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে, তাদের নৈতিক কোন ভিত্তি নেই। রাষ্ট্রদূতরা যতই সীমা লঙ্ঘন করুক না কেন, সেটা কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কঠিন। তাই সবার আচরণ, কথাবার্তা, অভিব্যক্তি থেকে শুরু করে লেখালেখি আরো সহনীয় হওয়া দরকার। এই প্রথম নয় এর আগেও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাফ জানিয়েছিলেন, দায়িত্বের বাইরে কাজ করলে রাষ্ট্রদূতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবারও তিনি সতর্ক করে দিলেন। তফসিল ঘোষণার সময় যাতে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য না করেন। তার কথায়, অনেকদিন ধরেই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার একটা চর্চা চালু হয়েছে দেশে। আর এই সুযোগটাই নিচ্ছেন অনেকে। বাংলাদেশ সরকার চায়, এই কালচার এবার বন্ধ হোক। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধেও রয়েছে একগুচ্ছ অভিযোগ। যদি এখনো পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি পত্র ওয়াশিংটনে পাঠায়নি বাংলাদেশ সরকার। গত ছয় মাস ধরে নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে যত জলঘোলা। অতীতে যেসব কথা রাষ্ট্রদূতরা বলেছেন, এখন যদি সেই কথাই তারা রিপিট করেন আরও বেশি এফেক্টেড হতে পারে নির্বাচন।
দেখুন, যতই সবকিছুকে উড়িয়ে দেওয়া হোক না কেন, বাংলাদেশ কিন্তু চাপে রয়েছে। দেশটার মানবাধিকার রেকর্ড পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে তৎপর জাতিসংঘ। সেখানে বাংলাদেশ পাস করবে নাকি করবে না, তা তো বলবে রেজাল্টই। আপনার কি হয়? বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ঠিক আছে? নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে হবে তো? মন্তব্য করে আমাদের জানাতে পারেন আপনার মতামত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়