Home বিদেশ মোসাদ ফেইলিওর ? ইজরায়েলে ইয়ম কিপুর পার্ট টু! ফিরে এলো সাঙ্ঘাতিক ৬ই অক্টোবর

মোসাদ ফেইলিওর ? ইজরায়েলে ইয়ম কিপুর পার্ট টু! ফিরে এলো সাঙ্ঘাতিক ৬ই অক্টোবর

মোসাদ ফেইলিওর ? ইজরায়েলে ইয়ম কিপুর পার্ট টু! ফিরে এলো সাঙ্ঘাতিক ৬ই অক্টোবর

[ad_1]

ইজরায়েলে মোসাদের ম্যাসিভ ফেইলিওর? ইয়ম কিপুরের ছায়া ইজরায়েলে। হামাসের ভয়ঙ্কর হামলার ছক, টেরই পেল না বিশ্বের সবচেয়ে ধুরন্ধর ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি? কী ভাবে মোসাদকে ঘোল খাওয়াল প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী? জানেন গলদটা কোথায়? অতিরিক্ত গ্যাজেট নির্ভরতাই ইহুদি ভূমির কাল? আমেরিকাও চোখে সর্ষেফুল দেখছে। আমান-সিনবেট’ই বা কী করছিল? ১৯৭৩ এর ডিটো কপি ২০২৩। অক্টোবরের একটা দিনেই বড় ফাড়া ইজরায়েলের। ইজরায়েল যা কল্পনাও করেনি সেটাই সারপ্রাইজ ভিজিটে করে দেখালো হামাস। ব্যর্থতা নাকি কন্সপিরেসি? এক মাস আগে থেকেই কী ইজরায়েলে হামলার ছক সাজাচ্ছিল প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস? ৬ই অক্টোবর! কেন বারবার এই একটা দিনেই তছনছ হয় ইহুদি ভূমি? ১৯৭৩ এর ইয়ম কিপুর যুদ্ধ ভুলে গেছিল নেতানিয়াহুর দেশ?

নাহলে কি এতো বড় ধাক্কাটা খেতে হতো? অথচ, যে মোসাদের নামে গোটা বিশ্ব কাঁপে, তারা কিছুই টের পেলনা। ১৯৭৩ সালের ৬ই অক্টোবর ইহুদিদের সবচেয়ে পবিত্র দিন ইয়ম কিপুর। ইজ়রায়েল আক্রমণ করেছিল কয়েকটি আরব দেশের জোট। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে জিতেছিল ইজ়রায়েল। ২০২৩ এর ৬ই অক্টোবর, ইহুদিদের আর এক পবিত্র দিবস সিমহাত টোরায় প্যালেস্টাইনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলার মুখে পড়ল ইজ়রায়েল। কি আছে এই ৬ই অক্টোবরে? ইয়ম কিপুর যুদ্ধের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন অনেক ইজ়রায়েলি। সেইবার ও উৎসবে মেতে ছিল ইহুদীরা, আর এবারও। তাহলে, কী ইয়ম কিপুর যুদ্ধের স্মৃতি উসকে দিতেই হামাস ৬ই অক্টোবরকে বেছে নিল? কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে মোসাদ, শিন বেট, আমানকেও। যদিও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, মোসাদ-কে ঘোল খাওয়াতে রীতিমতো কাঠখড় পুড়িয়েছে প্যালেস্টাইনি জঙ্গি গোষ্ঠী। ব্যবহার করেনি কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মতো গ্যাজেট। এছাড়া গত দু’বছর ধরে ধীরে ধীরে মোবাইল ফোনের ব্যবহারও কমিয়েছে হামাস। এদিকে জঙ্গিদের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইজরায়েলি মোসাদ অনেকটাই গ্যাজেট নির্ভর।

তাহলে মোসাদের গ্যাজেট নির্ভরতাই কী কাল হলো? আমেরিকাই বা কী করলো? ইজ়রায়েলকে প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল সাহায্য করে আমেরিকা। আমেরিকার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলে ইজ়রায়েল। সেই দেশটাও অন্ধকারে থাকলো? উত্তর একটাই, এমন বড় মাপের কোনও হামলার ছকের কথা জানাই ছিল না আমেরিকান গোয়েন্দা বা সেনা আধিকারিকদের। ইজরায়েলের কাছেও এমন হামলার কোনো তথ্য ছিল না। তবে কি ব্যর্থ হল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মোসাদ এজেন্সি? বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য মোসাদের মধ্যে অন্তর্ঘাতকে দায়ী করেছেন। আবার আরেকাংশের মতে, হামাস হামলা করলেই যুদ্ধ ঘোষণা করা যাবে, এটা জানত মোসাদ। তাই ইচ্ছে করেই প্যালেস্টাইন জঙ্গিদের ভুল করতে দিয়েছে ইজরায়েলি মোসাদ। এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা চলছে।

তথ্য বলছে আগে হিউম্যান ইনটেলিজেন্সের উপর বেশি নির্ভরশীল ছিল মোসাদ। হামাস বা হেজবুল্লার মতো জঙ্গি গোষ্ঠীতে মিশে থাকত তাঁদের কয়েকশো এজেন্ট। সেখান থেকে বর্তমানের গ্যাজেট নির্ভর গুপ্তচরবৃত্তি বুমেরাং হলো ইজরায়েলের কাছে। হামাস যে এই প্রথমবার মোসাদের নজর এড়াল, এমনটা নয়। ১৯৯৭-র মাঝামাঝি প্যালেস্তাইনি এই জঙ্গি সংগঠনের কুখ্যাত কমান্ডার খালেদ মেশালকে হত্যার চেষ্টা করেন ইজরায়েলি গুপ্তচররা। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। যার জেরে তৎকালীন মোসাদ চিফ ড্যানি ইয়াটমকে চাকরি পর্যন্ত খোয়াতে হয়েছিল। তাহলে এবার নেতানিয়াহু সরকার মোসাদের বিরুদ্ধে কী স্টেপ নেবে? যুদ্ধ শেষ হলে মোসাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে? সবটাই বলবে সময়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here