Home আপডেট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জোড়া চিঠি পেল নবান্ন, এল রাষ্ট্রপতি ভবন–পিএমও থেকে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জোড়া চিঠি পেল নবান্ন, এল রাষ্ট্রপতি ভবন–পিএমও থেকে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জোড়া চিঠি পেল নবান্ন, এল রাষ্ট্রপতি ভবন–পিএমও থেকে

[ad_1]

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সমস্যা কিছুতেই কাটছে না। র‌্যাগিংয়ে প্রাণ যাওয়ার অভিযোগ থেকে শুরু করে উপাচার্য নিয়োগ পর্যন্ত সর্বস্তরে জটিলতা রয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে নানা ঘটনাও ঘটেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর তাই এখানের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক অচলাবস্থা দূর করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়ে ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছিল আবুটার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। আর এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে পাঠানো ইমেলে যা বলা হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে রাষ্ট্রপতি ভবনের আন্ডার সেক্রেটারি পিসি মিনা সরাসরি নবান্নে ইমেল করেছেন। যা দেখেছেন মুখ্যসচিব।

এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিল খোদ ইউজিসি। তাছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়ে সমস্যা রয়েই গিয়েছে। এমন আবহে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে পাঠানো ইমেলের কপি আবুটাকেও পাঠানো হয়েছে। তাতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই আবেদনের ভিত্তিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা আবুটার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শাখাকেও জানাতে হবে। অর্থাৎ রাজ্য সরকার যে পদক্ষেপ করবে সেটা আবুটাকে জানাবে। এখন দেখার বিষয় হল, রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করে কিনা। তাছাড়া আবুটার ইমেলের ভিত্তিতে এমন চিঠি নবান্নে আসা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

অন্যদিকে আবুটা বেশ কিছু অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল। তার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় (‌পিএমও)‌ থেকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীন পার্সোনেল বিভাগের বিশেষ সচিব অজয়কুমার পালের কাছেও চিঠি এসেছে। তাঁকেও সবটা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এই পর পর চিঠি পেয়ে যথেষ্ঠ বিরক্ত নবান্ন। সূত্রের খবর, কেউ কোনও অভিযোগ করতেই পারেন। সেটা যাচাই না করে যাঁদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে অভিযোগ তাঁদেরকেই পাল্টা দাওয়াই দেওয়া ভাল চোখে দেখছে না নবান্ন।

আরও পড়ুন:‌ ছুটির দিনেও জোর তল্লাশিতে নামল ইডি, চিনার পার্কের অফিস–ফ্ল্যাটে চলল অভিযান

সম্প্রতি রাজ্য ও রাজ্যপালের দ্বন্দ্বের আবহ তৈরি হয়। রাজভবন চিঠি দিয়ে জানায়, অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি (ইসি) এবং কোর্টের সভা ডাকতে পারবেন। আচার্যের উপস্থিতিতে বিদ্যাসাগর এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনও সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আচার্যের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছিল, এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের সভা বা সমাবর্তন স্থগিত রাখতে হবে। আচার্যের আদেশকে উড়িয়ে দিয়ে উপাচার্য বার্ষিক সমাবর্তন করেন। তবে সমাবর্তনের ঠিক আগেই আচার্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে অপসারণ করেন। যদিও তখন উপাচার্যকে সমর্থন করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here