Home আপডেট ‌‘‌যিনি আচার্য, তিনিই আবার উপাচার্য’‌, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঙ্কার ছাড়লেন ব্রাত্য বসু

‌‘‌যিনি আচার্য, তিনিই আবার উপাচার্য’‌, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঙ্কার ছাড়লেন ব্রাত্য বসু

‌‘‌যিনি আচার্য, তিনিই আবার উপাচার্য’‌, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঙ্কার ছাড়লেন ব্রাত্য বসু

[ad_1]

কয়েকদিন আগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের একতরফা নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। তখন সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করেই উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। এবার সেই রায় মানলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলে অভিযোগ। কারণ রাজভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, যতদিন না বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করা হচ্ছে ততদিন তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। এবার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় বার্তা দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

এদিকে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আজ, শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী যা বলেছেন তাতে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পথে যেতে চলেছে রাজ্য সরকার। কোন আইনের দ্বারা আচার্য উপাচার্যের পদ সামলাবেন? সেই প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আইনি পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি তিনি আগেই দিয়েছিলেন। এবার রাজ্য সরকার যে সেই পথেই হাঁটছে, সেটা তিনি শুক্রবার পরিষ্কার করে দিলেন। তবে রাজ্যপাল যে কৌশলে শিক্ষা দফতরে ঢুকে পড়তে চাইছেন সেটা ভালই বুঝেছেন ব্রাত্য বসু।

ঠিক কী বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী?‌ এই উপাচার্যের পদে বসার সিদ্ধান্তের জন্য রাজ্যপালকে কটাক্ষ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, ‘‌যাহা চালভাজা তাহাই মুড়ি! যিনি আচার্য, তিনিই উপাচার্য! কোন আইনে এটা হয়, জানি না। আমি সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। যিনি আচার্য, তিনিই আবার উপাচার্য। কোন আইনের দ্বারা এটা করলেন, আমার মাথায় ঢুকছে না। আমরা আইনি পদক্ষেপ করব বলে ভাবছি।’‌ সুতরাং রাজ্যপালের সঙ্গে আরও সংঘাতের মুহূর্ত তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল আর কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।

আরও পড়ুন:‌ দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে নস্টালজিয়া ফেরানো হচ্ছে পাহাড়ে, কী চালু হচ্ছে টয়ট্রেনের স্টেশনে?

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ রাজভবন থেকে জারি করা একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে উপাচার্যের পদ খালি রয়েছে, সেখানে পড়ুয়াদের ডিগ্রি শংসাপত্র–সহ নানা নথি পেতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই তাঁদের সুবিধার জন‌্য রাজ‌্যপাল নিজে আচার্য হিসাবে ওই সব বিশ্ববিদ‌্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। এই বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে। তিনি বলেন, ‘‌বাংলার একটি প্রবাদ রাজ্যপাল অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। যাহা চালভাজা তাহাই মুড়ি! যিনি আচার্য, তিনিই উপাচার্য! কোন আইনে এটা হয় আমি জানি না। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পথে যাওয়ার কথা ভাবছি।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here