Home বিদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মাটির নীচে সোনায় ঠাসা গুহা? পাহারায় কোন আজব প্রাণী || একটা মন্ত্রেই স্তরভেদ

যুক্তরাষ্ট্রের মাটির নীচে সোনায় ঠাসা গুহা? পাহারায় কোন আজব প্রাণী || একটা মন্ত্রেই স্তরভেদ

যুক্তরাষ্ট্রের মাটির নীচে সোনায় ঠাসা গুহা? পাহারায় কোন আজব প্রাণী || একটা মন্ত্রেই স্তরভেদ

[ad_1]

যুক্তরাষ্ট্রের মাটির নীচে সোনায় ঠাসা এতো বড় সিন্দুক! এই গুদাম ঘরে বইছে সোনার তরল স্রোত?
সিন্দুকের দরজা খোলে একটা মন্ত্রে। জানেন? কোথা থেকে এলো সোনায় ঠাসা এতোগুলো ঘর?
কেন এইভাবে সোনা জমায় দেশটা? কতগুলো স্তর ভেদ করে পৌঁছতে হয় ওই সোনার কাছে? এতো এতো সোনার মালিক কে? পাহারায় থাকে কোন আজব প্রাণী? মাটির নীচে কেজিএফ এর ছায়া।যুক্তরাষ্ট্রের যেখানে সোনা ফলে সোনার তালুক। আমেরিকার জ্যাকপট। কিভাবে মাটির নিচে জমলো সোনার পাহাড়? এখানে মজুদ সোনার কোনো নির্দিষ্ট হিসেব নিকেষ নেই। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সোনা সাজানো আছে এখানে থরে থরে।মানবসভ্যতার ইতিহাসে এতো সোনা এর আগে কোথাও একসঙ্গে এক জায়গায় সংরক্ষণ করা হয়নি। সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে বাইডেনের দেশ। কোন মন্ত্রে? কোন টোটকায়? এক্স্যাক্ট লোকেশন টা জানেন কি?

নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। নিউ ইয়র্কের মূল শহুরে এলাকা ম্যানহাটনে এর ঠিকানা। তবে সোনা রাখা হয় মাটির নীচে। এখানেই মজুত আছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সোনা। সোনার সবচেয়ে বড় গুদাম ঘর বলা যায় একে। কিভাবে পৌঁছবেন এখানে? কোন পদ্ধতিতে ছুঁতে পারবেন এই সোনা?
ভূপৃষ্ঠের নীচে তিনটে স্তর পেরিয়ে চতুর্থ স্তর ‘বেডরক’-এ রাখা হয় সোনা। মাটির প্রায় ৮০ ফুট নীচে এক একটি বিশাল ঘরে সোনা ভরা ‘সিন্দুক’। নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভে এ রকম ১২২টি ঘর আছে। এক একটা ঘরে থরে থরে সাজানো থাকে ঝকঝকে সব সোনার বাট। যার এক একটির ওজন ২৭ পাউন্ড। পৃথিবীতে এই পর্যন্ত যতো সোনা খনি থেকে তোলা হয়েছে, তার ৫ শতাংশ এখানেই মজুত। পরিমাণ কম করে ৮ হাজার টন। এই সোনার মালিক কোনো কোটিপতি বা ধনকুবের নন।

এই ব্যাংকের গ্রাহক মূলত বিভিন্ন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংক। গ্রাহকদের নাম গোপন রাখে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ। জানলে অবাক হবেন এখানে সোনা রাখার জন্য কোনো ভাড়া দিতে হয় না। এতো সোনা মজুদ। পাহারা ও নিশ্চয়ই অত্যন্ত কড়া। তাহলে শুনুন রক্ষীদের নিজেরাই ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ। টানা এক বছর ধরে চলে ট্রেনিং। লাগে হ্যান্ডগান, শটগান এবং রাইফেল চালনায় দক্ষতার সার্টিফিকেটও। এ ছাড়া ক্যামেরা, অ্যালার্ম, তালা তো রয়েছেই। সেফটি সিকিউরিটিতে নেই কোন ফাঁক ফোকর। কিন্তু মাটির নীচের এই গুদামে ঢোকা সহজ কথা নয়। একটা মন্ত্রেই খোলে এই এত বড় সিন্দুক। এখানে আছে ৯০ টনের একটি ইস্পাতের ঘুরন্ত সিলিন্ডার।সেই দরজা সিন্দুকের দরজার সঙ্গে মুখোমুখি মিললে তবেই ঢোকা যায় সিন্দুকে। এই সব পেরিয়ে সোনার কাছাকাছি পৌঁছাতে মোটামুটি একটা গোটা দিন লেগে যায়। এই সোনার গুদাম স্বচক্ষে দেখতে চাইলে পর্যটকরা ঘুরতে যেতে পারেন এই ব্যাংকে। তাদের জন্য রয়েছে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভের অবারিত দ্বার। পৃথিবীর বৃহত্তম সোনার মজুদ যেখানে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here