Home বিদেশ যুক্তরাষ্ট্রে বড়সড় অস্ত্রের কারবার! রাশিয়া-চীন কোথায়, টার্গেট ইউক্রেন নাকি ইরান ?

যুক্তরাষ্ট্রে বড়সড় অস্ত্রের কারবার! রাশিয়া-চীন কোথায়, টার্গেট ইউক্রেন নাকি ইরান ?

যুক্তরাষ্ট্রে বড়সড় অস্ত্রের কারবার! রাশিয়া-চীন কোথায়, টার্গেট ইউক্রেন নাকি ইরান ?

[ad_1]

যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্রের পাহাড়? এই দেশে অস্ত্র যেন হাতের মোয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র কারখানা গুলোতে চলছে ব্যাপক তোড়জোড়। কী কী তৈরি হচ্ছে? ইউক্রেনের জন্যই কী সর্বশক্তি দিয়ে এতো এতো অস্ত্র বানাচ্ছে দেশটা? কেন নতুন করে অস্ত্র নির্মাণে এতো বরাদ্দ দিচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর? নাকি অন্য কোনও যুদ্ধের প্ল্যান? অলরেডি সামরিক খাতে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে পেন্টাগন। দেশটির বিভিন্ন কারখানায় তৈরি হচ্ছে আর্টিলারি শেল, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র। আর্টিলারি শেলের উৎপাদন বাড়ানো হবে ৫০০ শতাংশ

তাছাড়া, প্রিসিশন স্ট্রাইক মিসাইল পিআরএসএম এর প্রাথমিক উৎপাদনের জন্য মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানি লকহিড মার্টিন কে ৪৪.৩ মিলিয়ন ডলার তহবিল বরাদ্দ দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। নতুন এই গোলাবারুদ ব্যালিস্টিক মিসাইল এর বিকল্প হিসেবে কাজ করবে যার রেঞ্জ ৩০০ কিলোমিটার। তাছাড়াও, লঞ্চার সিস্টেম, উইপন কন্ট্রোল সিস্টেম, মিসাইল তৈরির উপকরণ এবং আরো বেশ কিছু যন্ত্রাংশ তৈরির কাজ চলছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এবং বিরোধী দেশগুলো হাইপার সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। নতুন এই অস্ত্র শব্দের চেয়েও পাঁচ গুণ বেশি গতিতে আকাশে ছুটবে।

চীন, রাশিয়ার মতো দেশগুলো উন্নত প্রযুক্তির এই অস্ত্র তৈরিতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে। প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকতে নারাজ আমেরিকাও। গেল জুলাইয়ে আমেরিকা সফলভাবে মার্কিন লকহিড মার্টিন কর্পোরেশনের দুটো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। লকহিড মার্টিনের তৈরি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এফ ৩৫ ফাইটার জেট মার্কিন এয়ার ফোর্স জয়েন করেছে। জানিয়ে রাখি, ইসরাইলের এফ থার্টি ফাইভকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান। তার নির্মাতাও কিন্তু লকহিড মার্টিন। লকহিড মার্টিন কোম্পানির তৈরি এই বিমানে আছে স্টিল্থ প্রযুক্তি। অর্থাৎ এই বিমান উড়লে শত্রুপক্ষের রাডারে তার অস্তিত্ব ধরা পরবে না।

এমনকি, শত্রুপক্ষের বিমানের চোখ পড়ার আগেই এফ থার্টি ফাইভ সেটাকে খুঁজে নিতে পারবে। তাছাড়া বিমানটির পাইলটের হেলমেটে বসানো আছে একটা ডিসপ্লে সিস্টেম, যাতে অন্যদিকে মুখ করে থাকা অবস্থায়ও পাইলট শত্রু পক্ষের বিমানের দিকে গুলি করতে পারে, তাদের লক্ষ্য বস্তুর গতিবিধি চিহ্নিত করতে পারে, শত্রুপক্ষের রাডার জ্যাম বা অকার্যকর করে দিতে পারে, এমনকি আক্রমণ প্রতিহত করতে পারে। মোদ্দা কথা, মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রজেক্ট এর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এছাড়াও উৎপাদন দ্বিগুণ হবে জ্যাভেলিন অ্যান্টি ট্যাঙ্ক‌ ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলো গাইডেড মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়, আর স্টিঙ্গার অ্যান্টি এয়ারক্রাফট ক্ষেপণাস্ত্র।

ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিতে নিজেদের অস্ত্রের উৎপাদন পুরোদমে বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র রেকর্ড অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীত শেষে আরও বেশি যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে রাশিয়াকে প্রতিহত করতে মাঠে নামবে ইউক্রেন। সেই পরিমাণ অস্ত্র তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্রের সময় লাগবে কয়েক বছর। সেক্ষেত্রে, নিজেদের মজুত আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনেক বেশি অস্ত্র উৎপাদন বাড়াতে হবে। এরই মাঝে লোহিত সাগর ঘিরে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা তুঙ্গে। তাই, সেই বিষয়টাকেও মাথায় রেখে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরিতে মন দিয়েছে আমেরিকা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here