Home আপডেট ‘‌যে বুথ বেশি লিড দেবে সেখানে বরাদ্দ বাড়বে’‌, সুভাষের মন্তব্যের বিরুদ্ধে কমিশনে তৃণমূল

‘‌যে বুথ বেশি লিড দেবে সেখানে বরাদ্দ বাড়বে’‌, সুভাষের মন্তব্যের বিরুদ্ধে কমিশনে তৃণমূল

‘‌যে বুথ বেশি লিড দেবে সেখানে বরাদ্দ বাড়বে’‌, সুভাষের মন্তব্যের বিরুদ্ধে কমিশনে তৃণমূল

[ad_1]

গার্ডেনরিচ এলাকায় বহুতল ভেঙে পড়ার পর মানুষের জীবন–জীবিকায় ঘন অন্ধকার নেমে এসেছে। এই আবহে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ক্ষতিপূরণের কথা বলেছিলেন। আর তাতেই নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ ঠুকে দেয় বিজেপি। কিন্তু বিজেপি নেতা তথা বিদায়ী সাংসদ নিজেই এমন কাজ করেছে যা নিয়ে পাল্টা নালিশ ঠুকতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুতরাং এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। দলের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার প্রলোভন দেখালেন। তাতে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিকে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার সোমবার রাতে বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের পুয়াবাগান মোড়ে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে সুভাষ সরকার কর্মীদের বলেন, ‘প্রত্যেকটি বুথে আরও বেশি করে লিড দেওয়ার চেষ্টা করুন। যে বুথগুলিতে বেশি করে লিড হবে সেখানে নিশ্চিতভাবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর আমি বেশি করে এলাকা উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ অনুমোদন করব।’‌ এখানেই শেষ নয়, সুভাষ সরকার আরও বেশ কিছু কথা বলেছেন। যা নির্বাচনের আচরণবিধি কার্যকর থাকার মধ্যে বলা যায় না।

আরও পড়ুন:‌ বৈদ্যবাটিতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ি, আহত দু’জন, ঘটনাস্থলে পুলিশ

অন্যদিকে এখানেই সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা পোস্টার ফেলে ছিলেন। এমনকী সুভাষ সরকার দূর হঠো স্লোগান তুলেছিলেন। ঘেরাও করেছিলেন তাঁকে। এই পরিস্থিতির যাতে বদল আসে তাই সুভাষের কৌশলী বক্তব্য, ‘‌যে বুথ বেশি লিড দেবে, নির্বাচনের পরে সেই বুথ সাংসদের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে বেশি বরাদ্দ পাবে। গোটা এলাকাতেই প্রয়োজন অনুযায়ী সাংসদের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হবে। কিন্তু যে বুথ বেশি লিড দেবে সেই বুথ ‘ইনসেনটিভ’ হিসাবে সাংসদের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে বাড়তি অর্থ বরাদ্দ পাবে। সুতরাং সেই বুথে বেশি কাজ হবে।’

এই বক্তব্য নিয়েই আপত্তি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুভাষ সরকারের এই মন্তব্য আসলে ভোটারদের ‘প্রলোভন’ দেখানোর কৌশল বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘সুভাষ সরকার গত পাঁচ বছরে এলাকা উন্নয়ন তহবিলের যে ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন সেটাই খরচ করতে পারেননি। বিজেপির নিচুতলার কর্মীরা তাঁকে নিয়ে ক্ষুব্ধ। এখন নির্বাচনের মুখে প্রলোভন দেখানোর চেষ্টা করছেন বিজেপি প্রার্থী। এই ধরনের মন্তব্য করা আদর্শ আচরণ বিধির বিরোধী। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।’

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here