Home আপডেট ‘‌রাজনৈতিক গুরুকে প্রণাম জানাই’‌, শিশিরের শব্দ শোনা যেতেই কাঁথির পুরপ্রধানকে শোকজ তৃণমূলের

‘‌রাজনৈতিক গুরুকে প্রণাম জানাই’‌, শিশিরের শব্দ শোনা যেতেই কাঁথির পুরপ্রধানকে শোকজ তৃণমূলের

‘‌রাজনৈতিক গুরুকে প্রণাম জানাই’‌, শিশিরের শব্দ শোনা যেতেই কাঁথির পুরপ্রধানকে শোকজ তৃণমূলের

[ad_1]

শিশির অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ খাতায়–কলমে হলেও এখন তিনি প্রকাশ্যে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। সেটা নানা রাজনৈতিক সভায়, বক্তব্যে প্রকাশিত হয়েছে। অথচ একই অনুষ্ঠানে শিশির অধিকারীর সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্না। সেখানে কাঁথির সাংসদকে নিজের রাজনৈতিক গুরু বলে প্রণাম করতে দেখা যায় সুবলবাবুকে। আর তাই কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যানকে শোকজ করল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ পণ্ডা আজ, শুক্রবার এই কথা জানিয়েছেন। শুক্রবার রাতে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে সুবল মান্নাকে।

এদিকে কাঁথি ১ ব্লকের সাবাজপুট এলাকায় বেসরকারি স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে ছিলেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও পুরপ্রধান সুবল মান্না। দু’‌জনকে পাশাপাশি বসতে দেওয়া হয়। প্রদীপ জ্বালানোর সময় শিশির অধিকারী ডেকে নেন সুবল মান্নাকে। আর শিশিরবাবু বক্তব্য শেষ করতেই পুরপ্রধান সাংসদকে প্রণাম করেন। তারপর বক্তব‌্য রাখতে গিয়ে কাঁথির সাংসদ তথা শুভেন্দু অধিকারীর বাবাকে রাজনৈতিক গুরু বলে আখ্যা দেন। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিতেই অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে৷ যদিও খাতায়–কলমে শিশির এবং দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ।

অন্যদিকে শিশির অধিকারের সঙ্গে কাঁথির পুরপ্রধানের এমন ঘনিষ্ঠতা ভালভাবে নেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও সুবলের সাফাই, ‘‌মঞ্চে একজন বয়স্ক মানুষ বসেছিলেন। আমি শুধু সম্মানটুকু দেখিয়েছি। তৃণমূল নেতৃত্বকে যা বলার বলব। যিনি আমাকে চেয়ারম্যান করেছেন, তাঁকেই কৈফিয়ার দেব। ১৯৮৪ সাল থেকে তাঁদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। ২০২০ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় থেকেই ওদের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমার স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে দিব্যেন্দু অধিকারী আমাকে ফোন করেছিলেন। গতকাল স্কুলের ওই অনুষ্ঠানে শিশিরবাবু উপস্থিত থাকবেন আমি জানতাম না। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর পর শিশিরবাবু উপস্থিত আছেন বলে আমি চলে এলে খারাপ বার্তা যেত।’‌

আরও পড়ুন:‌ লোকসভার আগে নিয়োগ নিয়ে নির্দেশ, থানা থেকে সাপ্তাহিক তথ্য তলব নির্বাচন কমিশনের

এদিন শিশিরবাবুকে প্রণাম করেন সুবল মান্না। আবার প্রশংসাও করেন। যে ছবি ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র এবং তৈরি হয় বিতর্ক। ওই মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুরপ্রধান সুবল মান্না বলেন, ‘‌জন্ম দিয়েছেন পিতামাতা ঠিকই। কিন্তু যিনি পথ দেখিয়েছেন,যাঁর জন্য আজ আমি এখানে, সেই রাজনৈতিক গুরু শিশির অধিকারীকে প্রণাম জানাই।’‌ তারপরই রাতে পৌঁছে যায় শোকজের চিঠি। এই বিষয়ে সুবল মান্নার বক্তব্য, ‘‌শিশিরবাবুকে প্রণাম করে অন্যায় করে থাকলে তার বিচার ভগবান করবে। আমি শোকজের চিঠি পাইনি। আমি প্রশাসনিক পদে আছি। সুতরাং সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আমাকে শোকজ করতে পারেন না। আমি নিষ্ঠা, সততা নিয়েই কাজ করি।’‌ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ পণ্ডার কথায়, ‘গুরুজনকে প্রণাম করা শিষ্টাচার। সেটা নিয়ে কিছু বলার নেই। যে পরিবার তৃণমূলের থেকে সব সুবিধা নিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তাঁদের সঙ্গে একই মঞ্চে আমাদের কোনও নেতা বসলে এবং প্রশংসা করলে দলীয় কর্মীদের ভাবাবেগে আঘাত লাগে।’‌ সব শুনে কাঁথির সাংসদ শুধু বলেন, ‘কোন দলে এমন হয় জানি না। যা ঘটছে তার জবাব মানুষ দেবে।’‌

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here